বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: পূর্ব বিরোধের জের ধরে সিলেটের বিশ্বনাথে শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনিয়র নিরাপত্তা প্রহরী ফয়েজ উল্লাহ (৫৯)’র উপর হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলার রামপাশা বাজারস্থ ভাগ্নার মালিকানাধীন ‘তিন ভাই রেষ্টুরেন্ট’র ক্যাশে বসা থাকা অবস্থায় হামলার শিকার হন শাবিপ্রবি’র সাবেক কর্মচারী ফয়েজ উল্লাহ। হামলায় ফয়েজ উল্লাহসহ তার দুই ভাগ্না ছাইদুর রহমান ও সাইফুর রহমান আহত হন। এরমধ্যে শাবিপ্রবি’র সাবেক কর্মচারী ফয়েজ উল্লাহ’র অবস্থা গূরুত্বর হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার সময় হামলাকারীরা রেষ্টুরেন্টের ক্যাশে থাকা নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় এবং দোকানের মালামাল ভাংচুর করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।স্বামীর উপর হামলা এবং ভাগ্নার দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ টাকা লুট ও ভাংচুরের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার রাতে ফয়েজ উল্লাহর স্ত্রী শামছুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৫ (তাং ২২.১০.২০ইং)। মামলার অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা গ্রামের (দিলপাশা মার্কেট) মরহুম দিলকুশ মিয়ার পুত্র ছায়েদ আলম (৪০) ও রাজা আলম (২৫)।মামলার অভিযোগপত্রে বাদী উল্লেখ করেছেন, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে ঘটনার দিন বিকেল ৪টার দিকে তার স্বামী নিজের ভাগ্নার মালিকানাধীন ‘তিন ভাই রেষ্টুরেন্ট’র ক্যাশে বসা থাকা অবস্থায় অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ধারালো দা, লোহার রড ও বাঁশের লাটি-সোটা হাতে নিজেদের সাঙ্গ-পাঙ্গকে সাথে নিয়ে রেষ্টুরেন্টে অনাধিকার প্রবেশ করে বাদীর স্বামী ফয়েজ উল্লাহকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে তার (ফয়েজ) উপর হামলা করেন। এতে ফিয়েজ উল্লাহ রক্তাক্ত গুরুত্বর আহত হন। এসময় ফয়েজ উল্লাহকে বাঁচানোর জন্য তার দুই ভাগ্না (ছাইদুর রহমান ও সাইফুর রহমান)’র উপরও হামলা করেন অভিযুক্তরা। এরপর অভিযুক্তরা রেষ্টুরেন্টের ক্যাশে থাকা নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় ও দোকানের মালামাল ভাংচুর করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। আহতদের আতœচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ত্যাগ করে। এলাকাবাসী চিকিৎসা প্রদানের জন্য হামলায় গুরুত্বর আহত ফয়েজ উল্লাহকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং ছাইদুর-সাইফুরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।এব্যাপারে আহত ফয়েজ উল্লাহর পুত্র শাকিল আহমদ বলেন, বিগত সময়ে অভিযুক্ত ছায়েদ আলম অন্যায়ভাবে মোটা অংকের টাকা পান দাবী করে আমার পিতার উপর মিথ্যা মামলা করেন। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আদালতে মামলা চলাকালীন থাকার পরও মামলায় হেরে যাওয়ার ভয়ে অভিযুক্তরা আমার বৃদ্ধ পিতার উপর হামলা করে গুরুত্বর আহত করেছে, আমার ফুফাতো ভাইদের আহত করে তাদের দোকানে লুটপাট ও ভাংচুর করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।এঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) বলেন শামীম মুসা।