সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ার খয়েরবাড়িয়া শহিদ রফিক আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর দীর্ঘ দিন ধরে জোর পূর্বক দখল করে মৎস্য চাষ করছে স্থানীয় প্রভাবশালী ইউপি সদস্য।
মৎস্যচাষ করায় পার ভেঙ্গে পুকুরে পড়ছে দামি মেহগনি গাছ, হুমকির মুখে স্কুলের ভবন। রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। দখলমুক্ত চেয়ে ইউএনও বরাবর আবেদন।
বিদ্যালয় ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, খয়েরবাড়িয়া শহিদ রফিক আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ বিঘা আয়তনের একটি পুকুর জোর পূর্বক দখল করে মৎস্যচাষ করছে
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ । নন্দনপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ৪ বছর
ধরে বিশাল পুকুরে লীজ ছাড়া মৎস্যচাষ করায় পুকুরের পার ভেঙ্গে বড় বড় কাঁঠাল ও
মেহগনি গাছ ভেঙ্গে পড়ছে। হুমকির মুখে রয়েছে বিদ্যালয়ে পূর্ব পাশের একটি ভবন। পুকুর সংস্কার করে পারে মাটি ভরাট না করলে যে কোন সময় বড় ধরণের
দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। ইতো মধ্যে পুকুরে ভেঙ্গে পড়েছে বড় বড় কাঁঠাল ও মেহগনি গাছ। ওই পুকুরের চার পারে কম পক্ষে ২০/২৫টি গাছ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তিন বিঘা পুকুরে প্রতি বছর প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার রাজস্ব
হারাছে বিদ্যালয়। চার বছরে প্রায় দুই লক্ষ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যালয়। যা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ করা করা যেত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, বিগত কয়েক বছর খয়েরবাড়িয়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ পুকুরে মৎস্য চাষ করতে শুরু করেন। তাকে বার বার মাছ মেরে নিয়ে পুকুর খালি করতে ও বলা হলেও কর্ণপাত করেন নাই। সরকারী
নিয়ম অনুযায়ী পুকুরে মৎস্য চাষের কথা বলা হলেও তা কখনও করেনি।
বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ বরাবর পুকুর দখলমুক্ত ও বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকি মুক্তের জন্য আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন,আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা
বলে মাৎস্য চাষ করে আসছি। জোর পূর্বক নয়।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ বলেন, শহিদ রফিক আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একটি অভিযোগ দিয়েছে। দ্রুততম সময়ে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।