রাজশাহী নগরীতে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে রাতভর নির্যতনের অভিযোগে মো. ফিরোজ (৩৩) নামের এক স্বামীর বিরুদ্ধে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করেছে গৃহবধূ মোছা. শিল্পি আক্তার (২৭)। এ ঘটনায় পাষন্ড স্বামী ফিরোজকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এজাহারের বরাত দিয়ে জানা যায়, চন্দ্রিমা থানাধিন আসাম কলোনী এলাকার শিল্পি আক্তারের সাথে একই থানার চন্দ্রিমা থানাধিন মো. ফজলুল হকের ছেলের সাথে (২৯ মার্চ ২০১৮) সালে বিবাহ্ হয়।
বিবাহের পর থকেই যৌতুক লোভী শাশুড়ী মোছা. ফরিদা বেগম ও শশুর ফজলুল হক ও স্বামী ফিরোজ ৫লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে
শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছে। নির্যাতন বন্ধ ও সংসার টেকানোর লক্ষে বিয়ের এক মাসের মধ্যেই ইসলামী
ব্যংকের মাধ্যমে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা প্রদান করেন গৃহবধূ শিল্পি। এতেই শেষ রক্ষা হলোনা গৃহবধূ শিল্পির। কিছুদিন না
যেতেই আবারও শুরু হয় অত্যাচার নির্যাতন। গত (১৭ অক্টোবর ২০২০) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌতুক লোভি স্বামী পুনরায় ১
লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবী করে। আর এতে সহযোগীতা করে যৌতুক লোভি শুশুর শাশুড়ী। এ সময় আমি যৌতুক প্রদানে
আমার ভায়ের অক্ষমতার কথা প্রকাশ করি। এ সময় আমার শ^শুর শাশুড়ী ও স্বামী এলোবাথারীভাবে আমাকে রাতভর শারিরিক ভাবে নির্যাতন করে। পরের দিন (১৮ অক্টোবর ২০২০) সুযোগ বুঝে আমি আমার বড় ভাই মো: মুন্জুরকে মোবাইলে বলি। খবর
পেয়ে আমার বড় ভাই ও প্রতিবেশীরা আমার শশুর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করে।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় গত রোববার চিকিৎসা শেষে গৃহবধু শিল্পী বাদি হয়ে স্বামী ও শশুর শাশুড়ীকে আসামী করে নগরীর চন্দ্রীমা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়েরকরেছেন। মামলা নং-২৭, তাং-১৯/১০/২০২০।
ওই মামলায় যৌতুক লোভি স্বামী ফিরোজকে গতকাল সোমবার গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
তবে শ^শুর শাশুড়ী পালিয়েছে। জানতে চাইলে নগরীর চন্দ্রীমা থানার
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সিরাজুম মনির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যৌতুকের দ্বাবীতে গৃহবধু শিল্পীকে নির্যাতনের অভিযোগে গৃহবধু বাদী হয়ে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের
করেছেন। মামলার প্রধান আসামী ফিরোজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে শশুর-শাশুড়ী পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেফতার অভিযান