কলমাকান্দায় ইউপি চেয়ারম্যানের দখলে থাকা সরকারি জায়গা উদ্ধার

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ডাকবাংলা মোড় এলাকায় কলমাকান্দা সদর ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মৌলার দখলে থাকা এগারোটি ও মো. সিদ্দিক ম্যাকানিজের দখলে থাকা দশটি দোকান ঘর ভেঙে সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে স্থানীয় এমপি মানু মজুমদারের নেতৃত্বে সর্বস্তরের লোকজন মিলে ওই সরকারি জায়গা উদ্ধার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দা উপজেলার ডাকবাংলা মোড় এলাকায় সরকারি জায়গা দখল করে শেখ গোলাম মৌলা ও সিদ্দিক ম্যাকানিজ দীর্ঘদিন ধরে দোকান ঘর নির্মাণ করে তা ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই এলাকাটি
একটি জনগুরুত্বপূর্ণ মোড়। কলমাকান্দা সরকারি কলেজ, বিশরপাশা বাজার, পাঁচগাঁও বাজারসহ সীমান্তবর্তী এলাকার প্রায় কয়েক হাজার লোকজন ওই মোড় দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেন। তাছাড়া ওইসব এলাকায় প্রতিদিন চলাচল করে ছোট
বড় অসংখ্য যানবাহন। দীর্ঘদিন ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি জায়গাটি দখল করে রাখায় রাস্তাটিতে সবসময়ই যানজট লেগেই থাকে।
উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নুরু
বলেন, ওই জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি জায়গাটি চেয়ারম্যান ও সিদ্দিক মেকার দীর্ঘদিন
ধরে দখল করে রাখায় জনসাধারণের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। নেত্রকোনা-১
আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদারের নেতৃত্বে সর্বস্তরের লোকজন সরকারি জায়গাটি উদ্ধার করায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মো. সিদ্দিক মিয়া (ম্যাকানিজ) বলেন, আমার দখলে সরকারি যতটুকু জায়গা ছিল স্থানীয় এমপি ও এলাকার লোকজনের কথায় তা ছেড়ে দিয়েছি।
এবিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মৌলার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওই জায়গাটি তার রেকর্ডের জায়গা, অহেতুক রাজনৈতিক লোকজন তার জায়গায় থাকা এগারোটি দোকান ঘর ভেঙে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার বলেন, শেখ গোলাম মৌলা চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি ওই জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জনগুরুত্বপূর্ণ ওই জয়গাটি
উদ্ধার করা স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তাই জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে
সরকারি জায়গাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন, কলমাকান্দা থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আজাদ, উপজেলা যুবলীগে সাধারণ সম্পাদক পলাশ
কান্তি বিশ্বাস, মানবাধিকারকর্মী ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মুক্তিযোদ্ধা
নুরুল ইসলাম নুরু, মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান লালমিয়াসহ শতশত লোকজন।