বিশেষ প্রতিনিধি
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্মিত সড়ক বছরে ঘুরতে চায় না। কার্পেটিং উঠে উঠে যাওয়া সহ বেশিরভাগ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই জনগণের ভোগান্তি কিছুদিনের জন্য চলে গেলেও পুনরায় তা বছরের-পর-বছর ভুগতে হয়। কিন্তু ভাঙ্গুড়া পৌরসভায় নির্মিত বিভিন্ন সড়ক দুই থেকে তিন বছরেও নষ্ট হয় না। কারণ সড়ক মেরামত ও সংস্কার কাজের দরপত্র অনুযায়ী কাজের মান নিজে বুঝে নেন মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যেকোনো নির্মাণকাজে প্রকৌশলীদের সাথে তদারকি করেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে। মেয়রের এমন দায়িত্বশীলতার কারণে ঠিকাদারসহ সাধারণ মানুষ অত্যন্ত খুশি। এটি পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেলের এক অনবদ্য কৃতি। চলতি বছর মার্চ মাসে ভেড়ামারা থেকে পৌরসভার পাথরঘাটা সীমান্ত পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ (মেরামত) করা হয়। এছাড়া একই সময়ে পাথরঘাটা মোড় থেকে রাঙ্গালিয়া মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সংস্কার করে। কিন্তু বছর না পেরোতেই শব্দটিতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। অথচ ভাঙ্গুড়া পৌরসভায় গত দেড় বছর আগে মেরামত ও সংস্কার করা অন্তত ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার সড়ক এখন পর্যন্ত কোন ধরনের নষ্ট হয়নি। এছাড়া বিভিন্ন মহল্লায় নির্মিত অনেক সড়ক বছরের পর বছর টিকে আছে। তবে দুই একটি সড়ক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আংশিক নষ্ট হয়েছে। তবে মেয়র নিচ থেকে সে অংশগুলো মেরামত করে দিয়েছেন। সম্প্রতি ভাঙ্গুড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে হাই স্কুল মোড় পর্যন্ত নির্মাণাধীন সড়ক কার্পেটিং এর সময় প্রতিদিন মেয়র রাসেল নিজে উপস্থিত থেকে কাজের মান বুঝে নিয়েছেন। এ নিয়ে ফেসবুকে মেয়র রাসেলের প্রশংসা করে নানা রকমের স্ট্যাটাস ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা। তাই সরকারের সেই ধারাবাহিক উন্নয়নের বাস্তবায়ন করাতে নিজে উপস্থিত থেকে কাজের মান বুঝে নিয়েছি। এতে সড়ক বেশিদিন টিকবে বলে সরকারের অর্থের অপচয় রোধ হবে এবং জনগণের চলাচলে ভোগান্তি হবে না।