বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ভারত রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পরদিন গেল সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ হঠাৎই দ্বিগুন হয় পেঁয়াজের দাম। ওইদিন সকালে সিলেটের বিশ্বনাথের বাজারে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ বিকেলে দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ টাকায়। এরপর বিভিন্ন সময়ে শতকও ছাড়িয়ে যায় দাম। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম হাকা হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা পর্যন্ত। সরকারে নানা উদ্যোগের এক মাসেও কমেনি ঝাঁজ। অপরিবর্তিতই রয়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের উচ্চমূল্য। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তাদের। এ পরিস্থির জন্যে দূর্বল তদারকিই দায়ী বলে করছেন তারা।সরেজমিন বাজার ঘুরে দেয়া গেছে, উপজেলা সদরের নতুনবাজার ও পুরাতনবাজারে বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০টাকা পর্যন্ত। আর দেশি পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকায়। ফলে বাধ্য হয়েই নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্য কিনতে বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে ভোক্তাদের। দাম বৃদ্ধি পাবার শুরতে ক’দিন সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বিশ্বনাথে ট্রাক সেলে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করলেও এখন আর তাদের কার্যক্রম অনেকটা অনিয়মিত। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন ভোক্তা সাধারণ।ভোক্তা আজাদুর রহমান বলেন, ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে পেঁয়াজের দাম। দ্বিগুন টাকার বেশি ব্যয়ে পেঁয়াজ কেনা সম্ভব নয়। এতো দিনেও কেন এ অবস্থায় পরিবর্তন হয়নি? যারা অতি মুনাফার লোভে দাম বাড়িয়ে বাজার চড়া করেছে তাদের ধরা কি এতোই কঠিন। তারা কি সরকার থেকেও প্রভাবশালী?ব্যবসায়ীরা জানান, দাম বেশি হাওয়ায় পেঁয়াজ বিক্রি আগের মতো হচ্ছে না। আমরা যে ধামে কিনছি তার থেকে নির্দিষ্ট হার লাভে বিক্রি করছি। এখানে আমাদের কোন দায় নেই।এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল বলেন, ক্রয়মূল্য থেকে সরকার নির্ধারিত মূনাফার বাহিরে অধিক টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। এর বাহিরে কেউ দাম বৃদ্ধি করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।