লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। সব রকম সবজিই কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কাঁচা মরিচের ঝাল কমার লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। দৃশ্যত কাঁচামরিচের সঙ্গী হয়েছে করলা ও আলু। কাঁচালঙ্কার মূল্য আবার ২শ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক কথায় সবজির মূল্য নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

বাজারে আগাম আসা শীতের সবজি সীম ও ফুলকপি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পাতাকপি ১০০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় বেড়েছে ২শ থেকে ৩শ টাকা।

৯ অক্টোবর উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার সরজমিনে ঘুরে এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান বাজারে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া। দাউদনগর বাজারে কাঁচামালের মূল্য সপ্তাহের ব্যবধানে ২০/২৫ টাকা বেড়েছে।

কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২৫০/২৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ডায়মন্ড আলু ৪৫/ ৫০ টাকা, করলা ৮০/১০০ টাকা পেঁয়াজ ৮৫/৯০ কাকরুল ৫০/৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দেশী টমেটো ৮০ টাকা, বিদেশি টমেটো ১২০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, দেশি আলু ৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ঝিঙা ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫/৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ বেগুন ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লালশাক ৫০, পুঁই শাক ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের কাঁচামাল খুচরা বিক্রেতা সোহেল মিয়া জানান, বন্যায় সবজি বাগান তলিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সবজির আমদানি কম। যে কারণে প্রতিদিন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, সবজির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়তি চলছে। বন্যার কারণে সব ধরনের সবজি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

বাজারে আসা ক্রেতা হোসেন আলী জানান, করোনা প্রাদুর্ভাবকালে যখন দূরপাল্লার পরিবহনগুলো বন্ধ ছিল তখন সবজির মূল্য ছিল নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের মধ্যে। এখন দূরপাল্লার পরিবহনগুলো সচল হওয়ার কারণে এলাকার সবজি বিভিন্ন পাইকারি বাজারে চলে যাচ্ছে। তাই সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখে আমি ইতিমধ্যে দুইবার ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছি যাতে কোনভাবেই ক্রেতাদের কাছ থেকে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত মূল্য না রাখা হয়। এরপরেও যদি কোন বিক্রেতা অতিরিক্ত মূল্য রাখেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাজার মনিটরিং আরো জোরদার করা হবে।