কুলাউড়ায় অপরিকল্পিত পোল্ট্রি ফার্মে পরিবেশ দূষণ


মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কুলাউড়া উপজেলার খারপাড়া গ্রামে বাড়ীতে লোকজনদের বসবাসের জায়গায় অপরিকল্পিত ভাবে পোল্ট্রি ফার্মে পরিবেশ দূষণ করার অভিযোগ উঠেছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনার সংক্রামণ নিয়েও। এখানকার মুরগীর বিস্টা লোকজনদের চলাচলের স্থানে শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার ও বিক্রি করছেন। শুকানো এই বিস্টা এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে চরম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাড়ীতে নাক পেজে ধরে ছলতে হয় প্রতিনিয়ত। এতে অনেকেরই ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি দেখা দিচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে করোনা ভাইরাসের যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে এভাবে পরিবেশ দূষণ আরও হুমকিতে ফেলেছে স্থানীয়দের। এ পোল্ট্রি ফার্মের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মোঃ জাহেদ হোসেনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের নিবন্ধনসহ প্রয়োজনীয় কোন কাগজাত এর তোয়াক্কা না করে ফার্মের মালিক মোঃ রহমত আলী বহাল তবিয়তে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উটা পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধ না করে বাঁধা দানকারী মোঃ জাহেদ হোসেনকে আসামী করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা (নং- ১২৯/২০২০) দায়ের করেছেন পোল্ট্রি ফার্মের মালিক মোঃ রহমত আলী। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলার ঘটনায় কুলাউড়া থানা পুলিশ বিরোধীয় ভূমীতে শান্তি-শৃংঙখলা বজায় রাখার জন্য পক্ষদ্বয়কে নোটিশ প্রদান করেছেন। স্থানীয় ও প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্র জানায়, স্ব-পরিবারে বসবাসের স্থানে বড় ভাই মোঃ রহমত আলী একটি মুরগীর খামার পরিচালনা করে আসছেন। খামরটির দুর্গদ্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠেন স্থানীয়রা। এবং পরিবারের শিশুসহ অন্যান্য লোকজন নানা জঠিল রোগে ভুগতে থাকেন। এনিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিলো। যার ফলশ্রুত ছোট ভাই মোঃ জাহেদ হোসেন এর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী মোঃ জাহেদ হোসেন বলেন- বর্তমান করোনার সংক্রামণ এর ভয়ে মানুষ স্বাভাবিক ভাবে চলা ফেরা করতে পারছে না। এর মধ্যে পরিবশেষ দূষণ করে তিনি গড়ে তুলেছেন এ খামার। আমাদের পরিবারের লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তিনি অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন- বড় ভাই মোঃ রহমত আলীর পক্ষ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম আমাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক আমার স্বাক্ষর গ্রহণ করেছেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ভাটেরা ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মজিদ মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- পারিবারিক ভাবে একাধিকবার সালিশ-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেব জাহেদ হোসেন এর কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর গ্রহণ করেছেন মর্মে জাহেদ আমাকে অবগত করেছে। এ ব্যপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।