ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ইউনিলিভার লিঃ এর ঈশ্বরদীর পরিবেশক সুমন ট্রেডার্সের ৮৭ লাখ টাকা লোপাট করে ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ওরফে এস এ এম সুমন উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে পরিবেশক মোহাম্মদ সুমন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানের ৭০ লাখ টাকা এবং ৩৩ জন কর্মচারীর বেতন ও ইনসেনটিভের ১৭ লাখ টাকা লোপাট করে ম্যানেজার গায়েব হয়েছে। এঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। ম্যানেজার সুমনের স্ত্রী নাসরিন নাহার ও শিশু পুত্র আলিফ নূর থানা হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
পরিবেশক সুমন বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে ষ্টোরের মালামালের এবং হিসাব-নিকাশে গড়মিক দৃশ্যমান হলে ম্যানেজারের টাকা লোপাটের ঘটনা প্রথম নজরে আসে। এসময় ম্যানেজার সুমন, তার ভাই মানিক ও স্ত্রীর উপস্থিতিতে ছয় মাসের মধ্যে লোপাটকৃত টাকা পরিশোধ করবেন মর্মে একটি আপোষনামা ষ্ট্যাম্পে লিখিত হয়। গত ৬ই অক্টোবর গুদামের মালামাল এবং হিসাবের খাতাপত্র পরীক্ষা করার সময় ৭০ লাখ টাকার গড়মিল ধরা পড়ে । দুপুরের খাবার খেতে বাসায় যাওয়ার জন্য বের হওয়ার পর হতে ম্যানেজার নিখোঁজ হয় এবং ফোনেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে ৭ অক্টোবর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়। এসময় তিনি ম্যানেজার সুমনের সাথে কোন লেনদেন না করার জন্য ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ঠদের আহব্বান জানান।
সিনিয়র সেলস অফিসার রোজনুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন ও হিসাব রক্ষক আজিমুদ্দিন জানান, ৩৩ জন কর্মচারীর ২ মাসের বেতন এবং ৬ মাসের ইনসেনটিভ বাবদ প্রায় ১৭ লাখ টাকা ম্যানেজার না দিয়ে আত্মসাত করেছে। তাঁরা আরো বলেন, ম্যানেজার সুমন এশিয়ার টিভির প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক নেতা বলে কর্মচারীদের সবসময় ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ নাসীর উদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ম্যানেজার সুমনের ফোন বন্ধ রয়েছে। স্ত্রী ও পুত্র ফেলে সে উধাও হয়েছে। তার স্ত্রী নাসরিন নিরাপত্তার জন্য ছেলেকে নিয়ে থানা হেফাজতে আশ্রয় নিয়েছে।
উধাও সুমনের ০১৭১৫৬৩৮২৩৬ নম্বরে ফোন করলে কল ফরোয়ার্ড হওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।