নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ^রী নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কামারখালী সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫০ টির ঘরবাড়ি । রাস্তাঘাট সহ বাড়ীঘর নদীগর্ভে যাওয়ায় সরকারি ভাবে এখনো নদী রক্ষা বাঁধের কোন ব্যবস্থা না করায় স্বেচ্ছাশ্রমে মাধ্যমেই শেষ আশ্রয় রক্ষার যুদ্ধে নেমেছেন নদী তীরবর্তী পরিবারগুলো । গ্রামের শতশত নারী-পুরুষ নদীর ভাঙন ঠেকাতে নিজস্ব অর্থায়নে বস্তা কিনে বালু ভর্তি করে অস্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মানের কাজে অংশ নেয়।
ভাঙ্গন কবলিত মানুষের এই সব দৃশ্য দেখে সমাজের বিওবান ,নানা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো এগিয়ে এসেছে ।
ইতিমধ্যে দুর্গাপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলা উদ্দিন আলাল নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির হাতে ৫০ হাজার টাকা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সদস্য আতাউর রহমান খান আখির ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ।
কুল্লাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা ভাঙ্গন কবলিত এলাকার খোঁজ খবর নিচ্ছেন একই ইউনিয়নের সন্তান হাবিবুর রহমান হাবিব মেম্বার ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে দাঁিড়য়েছে ।
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সময়ের বাতিঘর ,ডন বস্কো কলেজ,কারিতাস, বিরিশিরি ওয়াইএমসিএ সহ বিভিন্ন সংগঠন স্বেচ্ছাশ্রমে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নদীর পাড়ে নেমে বালু তুলছে,বালুর বস্তায় ভরছে. যুবকরা সেলাই করা বস্তা ট্রলারে ভরছে ক্ষতিগ্রস্থ পাড়ে ফেলতে ।
এই দু:খের মাঝে মনে হয় এই যেনো এক মানবতার মিলনমেলা ।
কামারখালী সোমেশ্বরী নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক জানান , নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ যতদিন পর্যন্ত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এলাকার মানুষের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে ।