মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কমলগঞ্জে পিতার মৃত্যুর ১৭ বছর পর বিচারের দাবী নিয়ে অভিযোগ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের গ্রাম্য আদালতে ও দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম, মৌলভীবাজার জেলা শাখায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা। ঘটনাটি ঘটেছে ১নং ওয়ার্ডের কালেঙ্গা গ্রামে মৃত মজিদ মিয়া ((৫৯)( জাতীয় পরিচয়পত্র নং৫৫২০১০৮০১১০১০৮৭৫৫) নামক ব্যক্তির পরিবারে। অভিযোগে জানা যায়, মজিদ মিয়া‘র সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পর্ক ছিল একই এলাকার শহীদ ওরফে শহীদ মাষ্টার এর সাথে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুয়ায়ী বন্ধুর সুন্দরী স্ত্রী ও সম্পত্তির লোভে পড়ে চিকিৎসার নামে অপ চিকিৎসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে মূত্যু নিশ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে শহীদ ওরফে শহীদ মাষ্টার এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ ঘটনায় মৃত মজিদ মিয়ার পুত্র আব্দুল আজিজ ও মোঃ কুরশেদ আলম ও হুসনেহারা ওরফে কুশভানু বেগম ঘটনার বিবরণ উলে¬খসহ শহীদ ওরফে শহীদ মাষ্টার এর বিরুদ্ধে স্থানীয় ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের গ্রাম আদালত ও দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম, মৌলভীবাজার জেলা শাখায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে উভয় পক্ষকে একাধিকবার স্থানীয় গ্রাম আদালতে তাদের বক্তব্য প্রদানের জন্য ডাকা হয়েছে। রহিমপুর ইউনিয়নের গ্রাম আদালত, দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম, মৌলভীবাজার জেলা শাখায় লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় লোকজনদের বক্তব্য জানা গেছে- মৃত মজিদ মিয়া‘র সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পর্ক ছিল একই এলাকার শহীদ ওরফে শহীদ মাষ্টার এর সাথে। বন্ধুত্বের সুবাদে মজিদ মিয়ার বাড়ীতে নিয়মিত আসা যাওয়া এবং তার স্ত্রী হুসনেহারা ওরফে কুশভানু বেগমের সাথে পরকিয়া সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েন বন্ধু শহীদ। বন্ধুর এমন আচরণে শারীরিক ও মানষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। স্ত্রী হুসনেহারা ওরফে কুশভানু বেগম ও শহীদ ওরফে শহীদ মাষ্টার কৌশলে কালেঙ্গা গ্রাম থেকে চিকিৎসার নাম করে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে যান। এবং অবুঝ শিশু পুত্রদের নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন। শিশু পুত্র মোঃ কুরশেদ আলমকে শ্রীমঙ্গল তার মালিকানাধীন একটি ফার্নিচার দোকেনে কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ দেন। অপরদিকে শ্রীমঙ্গলে গিয়ে মজিদ মিয়া মারাতœক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্ত্রী হুসনেহারা ওরফে কুশভানু বেগম ও শহীদ ওরফে শহীদ মাষ্টার এর কাছে জীবনের শেষ ইচ্ছা নিজ জন্মভূমিতে মূত্যুবরণ করবেন এমন আগ্রহ প্রকাশ করে তাদের ২জনের কাছে কান্না করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মজিদকে অসুস্থ অবস্থায় পুনরায় কালেঙ্গা গ্রামে নিয়ে আসলে এর কিছুদিন পর তিনি মৃত্যু বরণ করেন। পিতার মৃত্যুর কিছুদিন যেতেই তাদের জমাকৃত নগদ টাকা ও সকল সম্পত্তি আন্তসাৎ করেন মায়ের পরকিয়া প্রেমিক ( বর্তমান স্বামী) শহিদ। মসজিদের ইমামসহ একাধিক লোক স্বাক্ষ্যী রেখে হুসনেহারা ওরফে কুশভানু বেগমকে বিবাহ করেন। এবং পুত্র আব্দুল আজিজ ও মোঃ কুরশেদ আলম, বোন মিনারা ও শিরিন আক্তারকে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেন।আব্দুল মজিদের ৫ লাখ টাকা ও সম্পত্তি এসময় শহীদ মাষ্টার আতœসাৎ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক পর্যায়ে তাদের এমন নিষ্ঠুর আচরনে বাড়ী থেকে পালিয়ে গিয়ে বিভিন্ন রেল ষ্টেশনে রাত্রি যাপন করতে থাকেন আব্দুল আজিজ ও মোঃ কুরশেদ আলম। এভাবে চলতে থাকে তাদের দীর্ঘ ১৭ বছর। পরবর্তীতে শহীদ মাষ্টার হুসনেহারা ওরফে কুশভানু বেগম এর সাথে যোগাযোগ বন্ধ কওে দেন। এখন মৃত মজিদের স্ত্রী ওছেলৈ মেয়েরা বুঝতে পেরেছে সব কিছু ছিল শহীদ মাষ্টারের পরিকল্পনা।