বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে কিশোরী গৃহপরিচারিকা ধর্ষণ মামলার মূল অভিযুক্ত উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ইসলামপুর নতুন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা রুহুল আমিন শাহারকে ৭ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। শাহার সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। আলোচিত এই ধর্ষণ মামলার মূল অভিযুক্তকে ৭ দিনেও গ্রেপ্তার করতে না পারায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আবদুশ শহীদের বাড়ির কিশোরী গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই গ্রামেরই নতুন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা রুহুল আমিন শাহার বিরুদ্ধে। ঘটনার পরদিন অভিযুক্ত ইমামকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন নির্যাতিতা কিশোরীর বড়বোন। ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দেন ইমাম রুহুল আমিন শাহার। তবে মামলার বাদীর অভিযোগ, মসজিদের মুয়াজ্জিন মাহফুজ বিন আরিফ ও গ্রামের কতিপয় মাতুব্বরের সহযোগিতায় তার বোনের ধর্ষক ইমাম পালিয়ে যায়। আলোচিত এ ধর্ষণের ঘটনার পরপরই পুলিশ ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন মাহফুজ বিন আরিফ ও ইসলামপুর গ্রামের মাতুব্বর মখদ্দুছ আলীকে আটক করে। পরে দু’জনকে দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।বিশ্বনাথ থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শামীম মুসা সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মূল অভিযুক্ত ইমামকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। তাকেসহ অন্য আসামীদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।