ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিপাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের হাটগ্রাম এলাকায় সম্প্রতি চুরি বেড়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিমত, এসব চুরির সঙ্গে স্থানীয় মাদকাসক্ত ও জুয়ারু চক্রের যুবকরা জড়িত। কিছুদিন ধরে এই গ্রামে ব্যাপকভাবে জুয়া খেলা ও মাদক ছড়িয়ে পড়ায় বিপথগামী হয়ে এসব যুবকরা চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা অভিনব কায়দায় কেরাম, লুডু ও খর টানাটানি নিয়ে জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। এসব যুবকরা পূর্বে থেকেই বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবনে অভ্যস্ত। মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গ্রামের চঞ্চল নামে এক যুবক সম্প্রতি ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা খায়। স্থানীয়রা জানায়, চঞ্চল ছাড়াও একাধিক মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে হাটগ্রাম এলাকায়। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা পুলিশ আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি। এ অবস্থায় বিপথগামী যুবকরা জুয়া ও মাদকের টাকা জোগাড় করতে চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মে প্রতিনিয়ত লিপ্ত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে হাটগ্রাম বাজারের রতন প্রামাণিকের মুদিখানার দোকানে লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়। রতন ওই গ্রামের আজাহার প্রামাণিকের ছেলে। এ ঘটনায় প্রথম প্রামানিক থানায় অভিযোগ করেছেন। এ চুরির ঘটনায়ও স্থানীয় মাদক ও জুয়ারু চক্রের সদস্যদের সন্দেহ করা হচ্ছে।
এদিকের গ্রামে মাদক ও জুয়া বেড়ে যাওয়ায় আজ শনিবার রাতে গ্রামবাসী একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে। বৈঠকে থানা প্রশাসনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বৈঠকের জুয়া ও মাদক রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান গ্রামের প্রধান বর্গ।
এ বিষয়ে গ্রামের ইউপি সদস্য উজ্জল হোসেন বলেন, সম্প্রতি গ্রামে ভয়াবহভাবে মাদক ও জুয়া ছড়িয়ে পড়েছে। যা প্রতিরোধ করতে গ্রামবাসী হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে থানা প্রশাসনের উপস্থিতিতে গ্রামের প্রধান বর্গ জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে। বৈঠকে মাদক ও জুয়া রোধে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলার সর্বত্র মাদক ও জুয়া রোধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় হাটগ্রাম এলাকায় আজ শনিবার মিটিং বসিয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর থেকেই দ্রুত গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী ও জুয়ারুদের তালিকা তৈরি করে আইনের আওতায় আনা হবে।