রাজশাহীর বাগমারা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একটি মহল। তারা তথাকথিত ভুঁইফোড় অন লাইন পোর্টাল ব্যবহার করে এ ধরনের অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। এ দিকে এ ধরনের অপপ্রচার বন্ধ করতে এবং অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বাগমারা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা গতকাল রবিবার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। এছাড়া এই ঘটনায় গতকাল রবিবার আলতাফ বাদি হয়ে আইসিটি আইনে বাগমারা থানায় রাজশাহী সংবাদ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাগমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সাংবাদিক নাজিম আল হাসান, আব্দুল মতিন, মামুনুর রশিদ, মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, আফাজ্জল হোসেন, সামসুজ্জোহা মামুন, আকবার আলী, আবু বক্কর সুজন, রতন কুমার, ফারুক আহম্মেদ, শামিম রেজা । সভাপতি আলতাফ হোসেনে বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর অনলাইন পোর্টাল ”রাজশাহীর সময়” আমার বিরুদ্ধে জনৈক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ শিরোনামে সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন একটি সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদটি একবারে তথ্য বিভ্রাট হওয়ায় প্রমানিত হয় এটি তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে টাকার বিনিময়ে আলতাফকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নাটক সাজানো হয়েছে। ভ্রান্ত ওই সংবাদে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে ওই পুলিশ সদস্যের স্ত্রী দেউলিয়া গ্রাম থেকে সিএনজি যোগে ভবানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পরে সিএনজিটি মোহনগঞ্জ বাজারে পৌছালে সেখানে কলেজের ক্লার্ক আলতাফ মোল্লা ওই সিএনজিতে চড়েন এবং ভবানীগঞ্জে যাওয়ার পথে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে একা পেয়ে যৌন হয়রানী করেন তিনি। দেউলিয়া গ্রাম থেকে সিএনজিটি ভবানীগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে এসে সেটি আবার মোহনগঞ্জ গেলো বিষয়টি হাস্যকর। আরো হাস্যকর মোহনগঞ্জ থেকে সিএনজিটি পুলিশ সদস্যের স্ত্রী সহ আলতাফকে নিয়ে আবার ভবানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে আসলো । এ সময় আলতাফ তাকে একা পেয়ে যৌন হয়রানী করল। তাহলে ওই পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর গন্তব্য কোথায় ছিল। এটা তাহলে তৃতীয় পক্ষের সাজানো মিথ্যা পরিকল্পনা। তারা আগে থেকে জেনে শুনেই পুলিশ সদসদ্যের স্ত্রীকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করেছে আলতাফকে ট্যাপে ফালানোর জন্য। প্রকৃত ঘটনা ওই দিন সন্ধ্যায় আলতাফ সহ বাগমারার মাড়িয়া ইউনিয়নের বড়মাড়িয়া গ্রামের রাজশাহীর আরএমপিতে রিজার্ভ পুলিশে কর্মরত মো: ফিরোজ হোসেন স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে রাজশাহী যাওয়ার জন্য ভবানীগঞ্জ সিএনজি ট্যান্ডে আসেন। এ সময় আলতাফও সিএনজি ট্যান্ডে ছিলেন। তিনিও মোহনগঞ্জ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে স্বস্ত্রীক ফিরোজ হোসেন ্িসএনজি চালককে রাজশাহী যাওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি তাতে রাজি হননা। এ সময় আলতাফ হোসেন মোহনগঞ্জ গিয়ে তাদেরকে সিএনজি ঠিক করে দিতে সহযোগিতার কথা বললে পুলিশ সদস্য ফিরোজ হোসেন আলতাফকে গাঁজা খাওয়ার কথা বলে ভৎসনা করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্য ফিরোজ হোসেন আলতাফকে কিলঘুষি মারেন। এ সময় উপস্থিত সিএনজি ড্রাইভাররা এগিয়ে এসে উভয়কে নিবৃত্ত করেন। খবর পেয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাদেরকে নিয়ে পাশ্ববর্তী এসি ল্যান্ড অফিসে বসা হয়। এ সময় এসি ল্যান্ড মাহমুদুল হাসান আলতাফ ও পুলিশ সদস্য ফিরোজ হোসনকে ঘটনাটি মিমাংসা না বিচার তা স্থির করার জন্য ১০ মিনিটি সময় দিলে উভয়ে বসে এবং থানার ওসির অনুরোধে তারা মিমাংসায় রাজি হয় এবং পুলিশ সদস্য ফিরোজ তার দোষ স্বীকার করে নি:শর্ত ক্ষমা চাইলে উভয়ের মধ্যে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়। পরে এই নিস্পত্তির বিষয়টি একটি সাদা কাগজে লিখিত আকারে থাকার ওসির কাছে জমা রাখা হয়। প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা বলেন, একটি ঘটনাকে আড়াল করে মোহনগঞ্জ এলাকার কিছু স্বাথান্মেষী মহল আলতাফকে ফাঁসানোর জন্য এমন মিথ্যা অপপ্রচারে মেতে ওঠেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদস্য ফিরোজ হোসেন বলেন, ওই দিনে আমার স্ত্রীকে যৌন হয়রানীর কোন ঘটনাই ঘটেনি। এটা মিথ্যা অপপ্রচার। থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, উভয়ের সম্মতিতে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। পুলিশ সদসস্যের স্ত্রীকে নিয়ে এখানে কিছুই ঘটেনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর সময় পত্রিকার সম্পাদক মাসুদ রানা রাব্বানী ও বাগমারা প্রতিনিধি আব্দুল আলীম অসত্য এই সংবাদটি প্রকাশের জন্য ভুল স্বীকর করে বলেন, আমরা অনলাইন থেকে ওই সংবাদটি এখনই সরিয়ে নিয়েছি।