নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি ভোট বর্জনের পায়তারা করছে …..সাংগাঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।l


ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
‘নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য শেষ মুহুর্তে ভোট বর্জনের পায়তারা করছে।’ আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের সমন্বয়ক এস এম কামাল হোসেন ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের আরটিমেটাম ও ভোট বর্জনের হুমকির জবাবে শুক্রবার রাত সাড়ে নযটায় পাবনা প্রেসকাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেছেন।
এরআগে রাত ৮টার দিকে বিএনপি’র প্রার্থী হাবিব তার সাহাপুরের নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ধানের শীষের নেতা-কর্মীদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য  হুমকি-ধামকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। যাতে পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে না যায়। নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশী হয়রানি ও গ্রেফতার করা হয়েছে। যেকারণে তাঁর কর্মীরা বাড়িতে অবস্থান করতে পারছে না। তিনি আরো বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনকে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করার পরও কমিশন এখানে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। নেতা-কর্মীদের মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, পুলিশী হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন এবং ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না হলে শনিবার ভোট বর্জনের আলটিমেটাম দিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব। এসময় সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম সরদার, সাবেক এমপি আব্দুর বারী সরদার, সাবেক এমপি আনোয়ারুল হক আনোয়ার, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমূল বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এরই প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বিএনপি’র হাবিব বিভিন্ন বিষয নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বেলা ১২টার আগেই ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েই এই আলটিমেটাম দিয়েছেন। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী পথসভায় বলেছিলেন ‘উপনির্বাচনে ভোট কারচুপি ও সুষ্ঠু না হলে সরকারকে এজন্য কঠোর মাসুল দিতে হবে। আর ঈশ্বরদী থেকেই এবার সরকার বিরোধী ও পতনের আন্দোলন শুরু হবে।’ এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিএনপি আন্দোলনের ইস্যু তৈরী করতে চায়। এরআগে তারা আরো বলেছিল নির্বাচনে অংশগ্রহন তাদের আন্দোলনেরই অংশ। কামাল হোসেন আরো বলেন, হাবিব মনোনয়ন পেলেও তৃণমূল নেতা-কর্মিরা অতীতের মতো এবারেও মূখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নেতা-কর্মীর অভাবে হাবিব পোষ্টার লাগাতে পারেনি এবং গণসংযোগ করতেও ব্যর্থ হয়েছে। আর ধানের শীষ এখন বাংলার মানুষের বিষ। ধানের শীষ খুন, জঙ্গিবাদ, ধর্ষণ ও লুটপাটের প্রতীক। বিএনপি মতায় থাকাকালে, হত্যা, রাহাজানি, চুরি, ডাকাতি, জঙ্গিবাদ, জ্বালাও-পোড়াও করার কারণে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই হাবিব ভরাডুবি নিশ্চিত জেনে ভোট বর্জনের তালবাহানা আগে থেকেই শুরু করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এসময় পাবনা সদর আসনের এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু, জেলা যুবলীগের আহব্বায়ক আলী মুর্তজা সনি বিশ্বাস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।