নিষ্ঠুর প্রিয়তম

হে নিষ্ঠুর ও নির্মম প্রিয়তম,
সময় কি তোমাকে ধীরে ধীরে ঘাতক করে তুলছে সেই জীর্ণ অকর্মে?
কথা দিয়েছিলে মানবতার পক্ষে আজন্ম যুদ্ধ করবে,
কিন্তু তোমার তরবারি শুধুই রক্ত ঝরায় ক্রোধ ও বিদ্বষে আজব।
তোমার অধর্মের জুলুম ও সন্ত্রাসে ক্ষত-বিক্ষত হয় মানব জাতি ও পৃথিবী।
অথচ আমি সেবা ও কল্যাণের পথে পথে হেঁটে যাই বীর স্বাভব।
তোমাকে ডাকি ও বলি,ফিরে এসো,শান্তির মহত্বে নিরব,
মানবতার আর্দশ ও সততার পক্ষে সাহসী বন্ধু হয়ে নতুন
কিন্তু তুমি আমার কথা শোন না,তাই যন্ত্রণায় দগ্ধ হই আমি দেশ ও সমাজ জীবন।
আরো বিক্ষিপ্ত হয় এই পৃথিবী ও বিশ্ব-সভ্যতার শান্তিময় পথগুলো,
প্রিয়তম বন্ধু ফিরে এসো এই পৃথিবীকে ভালোবাসার নিপুণ চেতনা দেই আলো,
তারপর বিশ্ব- মানতার কল্যাণে আমরা জেগে উঠি নির্মণে
আন্দোলন সফল ও বিজয় হলেই গৌরব আর মর্যাদায় বিশ্ব মানবজাতি বেঁচে থাকবে সুজন।
তখন সময়ের ইতিহাস প্রেমের মালা গেঁথে আমাদেরকে আদরে বরণ করবে আলোয়,
আমি হবো তোমার প্রেমের দিওয়ানা প্রেমিক বাঁশিরীয়া,
তুমি হবে বাউলের সুরেলা গানে ভাটির কৃষাণী শস্যের ভূমি উদয়।
কিন্তু কেন যে তুমি প্রতিনিয়ত বিশ্ব-ব্যাপী রক্ত ঝরাও , নিষ্ঠুর বিবেক,
আর মানবতাকে হত্যা করো কঠিন নির্মম ভাবে অবাক।
তাই আমার নয়নে অশ্রুপাত ও হৃদয়ে গোপন যন্ত্রণা,
দেহের গভীরে শুধু বিরহ বিচ্ছেদের দাউ দাউ আগুন।
যা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে জ্বলে ওঠে হাজারও বিক্ষপ্ত মিছিল-
প্রিয়তম প্রেম ও ভালোবাসা আমার রক্তপাত বন্ধ করো বিশ্বজীবন হোক নির্মল।
নইলে তোমার আর আমার সম্পর্ক হবে কঠিন বিপন্ন।
তোমার কর্ম যদি শয়তানের জুলুম হয় তবে আমি নিশ্চয় আদম কল্যাণে সম্মান।
তুমি যদি অন্যায় অবিচার ব্যাভিচার আর অশান্তির পক্ষে দাঁড়াও বিবেকহীন?
আমি তবে ন্যায় কল্যাণ সেবা ও শান্তির পক্ষে অবশ্যই দাঁড়াবো হৃদয়বান।
যদি তুমি অগ্নি হয়ে দাউ দাউ করে নগর ও গ্রাম পোড়াও
আমি কিন্তু মেঘমালার বৃষ্টি হয়ে বর্ষণ করবো মৃত্তিকার ফসলে অথই!
জনম জনম আজন্ম আমাদের এই যুদ্ধ চলতেই থাকবে বৃথা হবে পারাপার।
মানবের ভেতরেই যেন শুভ ও অশুভ রূপের দ্বান্দ্বিক বিদ্বেষ ঝংকার!
ভেবেছিলাম তুমি হবে উদ্যানের পুষ্প মালার সৌরভ সেবাতে জ্যোতির্ময়,
কিন্তু পাঁপড়ির গভীরে দেখলাম প্রেমহীন তোমার হৃদয়!
হে নিষ্ঠুর ও নির্মম প্রিয়তম আর কত রক্ত ঝরাবে আমিত্ব
অহংকার ও বিদ্বেষে।
তার চেয়ে বাঁশিরীর সাম্য প্রেম আহবানে তুমি ঘুরে দাঁড়াও বিদগ্ধ বিশ্বাসে,
এসো লোভ লালসা ও ক্রোধ ভুলে আমরা মহৎ প্রেমের
মিলনে।
অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন চেতনায় বৃষ্টি হই শ্যামল সজিব যৌথ জীবনে।
আর তৃতীয় স্তরে গিয়ে পানি হয়ে তৃঞ্চা মিটাই মানবতার মহা-সম্মান।
তারপর দেখবে তোমার দেহে বিষমুক্ত ফুল ফুটেছে বিদগ্ধ চিত্ত!
তখন কবির বক্ষে তুমি হবে অনন্ত অক্ষয় প্রেমে দীপ্ত!
যৌবনের অনাদি ইতিহাস মহুয়া রূপবান ও বেহুলার এই দেশে।
বন্ধুত্ব স্থিতি হলেই তোমার সাথে সাম্যের বাঁশি বাজাবো বিদগ্ধ আলোর চেতনা বিশ্বাসে।
এক সময় আমাদের ভালোবাসা অমরত্ব হবে মহৎ আর্দশ ও মর্যাদায়।
সময়ের নতুন ফসল ফলাবো আবাদের সবুজ মৃত্তিকায়,
গড়ে তুলবো শ্রেণিহীন ও বর্ণহীন সভ্যতার ভিত্তি উদয়।
আমরা হবো ক্ষুধামুক্ত ও অভাবমুক্ত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কর্মদক্ষ জ্ঞানে প্রজ্ঞাবান এক মহান জাতি পরিচয়।