ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
আসন্ন উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাস্থলে দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই একাধিক নেতা-কর্মীদের ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
যুবলীগের পাবনা জেলা কমিটির আহব্বায়ক আলী মুর্তজা সনি বিশ্বাস সোমবার বিকেলে যুবলীগের উপজেলা ও পৌর কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের জরুরী সভার উদ্ধৃতি দিয়ে সভাপতি আল আহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সোমবার সন্ধ্যায় এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর কমিটির সকল সাংগাঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত: পাবনা-৪ আসনের আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কার্যলয়ে আয়োজিত ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনকে অভ্যর্থনা জানানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, পাবনা সদরের এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপিসহ পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের উপস্থিতিতেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার আকস্মিকতায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরই এক পর্যায়ে তিনি ঈশ্বরদীর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটিকে নির্দেশ দেন।