নাটোরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়ার মৃত্যু, আত্মহত্যা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন, পরিবারের প্রত্যাখ্যান

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের মেধাবী ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সুমাইয়া আÍহত্যা করেছেন বলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। গত বুধবার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার পর অভিযুক্তদের মধ্যে থেকে দুই জনের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এ ঘটনায় সুমাইয়ার পরিবারের দাবি সুমাইয়া আÍহত্যা করেননি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া মৃত্যু আÍহত্যা বলে উল্লেখ করে গতকাল বুধবার নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমান এর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালত সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক হোসেন, শশুর জাকির হোসেন শাশুরী সৈয়দা মালেকার জামিন শুনানি করেন আদালত। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে বিরোধিতার কারণে স্বামী মোস্তাক আহমেদের জামিন না হলে শ্বশুর এবং শাশুড়ি জামিন মঞ্জুর করে আদালত।

সুমাইয়ার মা নুজাহাত সুলতানা ও সুমাইয়ার ভাই সালাউদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আসামিরা প্রভাব খাটিয়ে একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড কে আÍহত্যা বলে রিপোর্ট প্রদান করিয়েছে। সুমাইয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিষয়ে আমাদের কোনো কিছুই জানতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। সুমাইয়ার মা অভিযোগ করে বলেন স্বামী মারা যাওয়ার ফলে তাদের দেখাশোনা করার কেউ নেই তাই তারা ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।এ ঘটনায় নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কিছুই বলার সময় হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ২২ জুন সুমাইয়ার মরদেহ হাসপাতালে ফেলে চলে যায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই সুমাইয়ার বাবা বাদী হয়ে সুমাইয়ার স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি দেরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে। ইতিমধ্যে আদালত থেকে সুমাইয়ার স্বামী বাদে অপর তিন আসামির জামিন পেয়েছেন।