সাঁথিয়ায় দেলো বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠিত এলাকাবাসী,ঘর ছাড়া দুই পরিবার

সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ায় দেলোয়ার শেখ দেলো বাহিনীর অত্যাচারে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে দারিদ্র দুই পরিবার। ওই বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা পায়নি মহিলা ও শিশু সন্তান। তারদের বিরুদ্ধে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগও রয়েছে।
এলাকা সূত্রে জানাযায়, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের যশোমন্তদুলিয়া গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সজিব হাসান জয়ের বাবা দেলোয়ার শেখ দেলো বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। সাধারণ মানুষ দেলোয়ারের ভয়ে আতংকৃত হয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে ফিরছে। নিজেদের পক্ষে অবস্থান না নেওয়ায় গত ২৯ আগস্ট দেলোয়ার তার মামা নাজেরসহ ২০/২৫ জনকে দিয়ে গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মকবুল হোসেন মকুলের বাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা মকুলের স্ত্রী লিপি খাতুন (৩২) ও তার ৯ মাসের শিশু সন্তান মিজানুরকে আহত করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিশু মিজানের পা কেটে যায়।
গত রবিবার দুপুরে যশোমন্ত দুলিয়া গ্রামের মকুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ঘরে তালা ঝুলছে। রান্নার মাটির প্রতিটি চুলা ভাঙ্গা। ঘরের টিনে ধারালো অস্ত্রের চিহৃ। অনেক খুঁজাখুঁজি করে গ্রামের রহমানের বাড়িতে দেখা হয় মকুলের সাথে। তিনি জানান, রাস্তায় পেলেই দেলো বাহিনী মেরে ফেলবে বলে জানাচ্ছে। আত্মরক্ষায় আমি পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। একই গ্রামের রহমান জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচু সালিশ করে রায় দিলেও দোলো তা মানেন না। সালিশের রায় অপেক্ষা করে আমাদের মারার জন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীলীগ নেতাসহ স্থানীয়রা জানান, দোলো বাহিনীর অপকর্মের বিরোধীতা করলেই শুরু হয় নির্যাতন। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে। এদিকে একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে জাহাঙ্গীর জানান, আমার বাবা একটি জমি ক্রয়ের জন্য ২০১৯ সালে অগ্রীম ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বায়না দেয়। দেলোয়ারের প্ররোচনায় জমির মালিক জিন্দার জমিও দিচ্ছে না এমনকি টাকা চাইতে গেলে দেলোয়ার হামলা ও মামলার ভয় দেখায়। একপর্যায় রাস্তায় পেলে মারার হুমকী দেওয়ায় আমি দীর্ঘ দিন ধরে আত্বীয়ের বাড়িতে পালিয়ে রয়েছি।
আওয়ামীলীগ নেতা দেলোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিজেরা ঘরের জিনিসপত্র সরিয়ে আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচু বলেন, মারামারির পর মকুলের পরিবার ভয়ে ঘর ছাড়া রয়েছে। আমি রবিবার মহিলাদের বাড়িতে তুলে দিলেও পুরুষরা ভয়ে বাইরে রয়েছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, দেলোয়ার বাহিনী বিষয়ে আমি অবগত নয়। ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করলে আমি ব্যবস্থা নিব।