কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কৃষক বদিউর রহমান (৫৫) হত্যা মামলায় আব্দুস সাত্তার নামের এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং তবারক হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মো. মেনু মিয়া, আবু তাহের ও নূরুল ইসলাম নামের পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এছাড়া মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ৬ আসামির প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অন্যদিকে মামলার অপর ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় মামলার ১৬ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আব্দুস সাত্তার ছাড়া বাকি ১৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আব্দুস সাত্তার করিমগঞ্জ উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ধীতপুর গ্রামের মৃত একরাম হোসেনের ছেলে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের মধ্যে তবারক হোসেন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আব্দুস সাত্তারের সহোদর। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত অপর চারজনের বাড়িও দক্ষিণ ধীতপুর গ্রামে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনায় দুই প্রতিবেশী পরিবারের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই বেলা ১২টার দিকে বদিউর রহমান ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর আব্দুস সাত্তার ও তার লোকজন হামলা চালায়।
হামলায় প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে বদিউর রহমান গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এ ঘটনায় নিহতর বদিউর রহমানের ছেলে গোলাপ মিয়া বাদী হয়ে ২৬ জুলাই করিমগঞ্জ থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালে আব্দুল বারেক নামে এক আসামির মৃত্যু হয়।
২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার এসআই আশরাফুল সিদ্দিক ১৬ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি জীবন চন্দ্র রায় এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।