ঢাকা রে‌সি‌ডে‌ন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড ক‌লে‌জের আবরার ছাত্র রাহাতের মৃত্যু: আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন আনিসুল হকসহ পাঁচজন

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রে‌সি‌ডে‌ন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড ক‌লে‌জের ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর মামলায় প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ পাঁচজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

লেখক আনিসুল হকের সঙ্গে যারা জামিন পেয়েছেন তারা হলেন- কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরাণ তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, প্রশান্ত কর্মকার ও আমিনুল গণী টিটো।

বুধবার তাদের মালামাল জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই বিচারক।

এ মামলার দশ আসামির মধ্যে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ পাঁচজন জামিনে রয়েছেন।  

মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে গতবছর ১ নভেম্বর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নবম শ্রেণির ছাত্র আবরার রাহাত। মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল প্রথম আলোর কিশোর সাময়িকী কিশোর আলো। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান কিশোর আলোর প্রকাশক; আর কিশোর আলোর সম্পাদক হলেন আনিসুল হক।

আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান গত ৬ নভেম্বর প্রথম আলো সম্পাদকসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেন। সেখানে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়।


তদন্ত শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম। সেখানে মোট দশজনকে আসামি করে বলা হয়, নাইমুল আবরারের মৃত্যুর পেছনে কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের ‘অবহেলার প্রমাণ’ পাওয়া গেছে।

ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কায়সারুল ইসলাম সেদিনই অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এরপর চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি হাই কোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান মতিউর রহমান। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে নিয়ম অনুযায়ী হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি নতুন করে জামিনের আবেদন করলে মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম তা মঞ্জুর করেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে আনিসুল হক, মহিতুল আলম, কবির বকুল, তুষার ও শুভাশীষও সে সময় মতিউর রহমানের সঙ্গে হাই কোর্টে আগাম জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু মামলার এজাহারে নাম না থাকায় তাদের জামিন না দিয়ে হাই কোর্ট অভিযোগ আমলে নেয়া বা অভিযোগ গঠন না হওয়া পর্যন্ত তাদের হয়রানি বা গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছিল।