যত্রতত্র পুকুর করার ফলে ও ব্রীজ-কালভার্টের মুখ বন্ধ করার কারনে জলাবদ্ধতায় কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি অনাবাদি থাকছে সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকায় তাড়াশ উপজেলায়।
জানা গেছে, উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের মাধবপুর, শ্রীকৃঞ্চপুর ও বোয়ালিয়া মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কয়েক হাজার বিঘা জমি এখন ধান আবাদে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় মাধবপুর গ্রামের কৃষক মুনসুর উদ্দিন বলেন, গ্রামের চারপাশে ব্রীজ ও কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট করে দিয়ে এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা শতশত বিঘা জমি কেটে পুকুর খনন করেছে। এতে করে মাধবপুর,বোয়ালিয়া ও শ্রীকৃঞ্চপুর মাঠের পানি বের হয়ে বিলে যেতে পারে না। পানি বের হয়ে যাওয়ার বিকল্প কোনো পথ না থাকায় মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এভাবে কৃষকরা প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এক পর্যায়ে আমনের আবাদ ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তারা পাটের আবাদও ছেড়ে দেন। সর্বশেষ শুধু একটিমাত্র বোরো ধান আবাদ করা হয়। কিন্তু বৃষ্টি হলে সেই ধানও হাঁটু পানির মধ্যে কাটতে হয়। এতে করে তিন ফসলি জমি এখন এক ফসলে পরিণত হয়েছে। পানি জমে থাকায় জমিতে কচুরি পানার স্তুপ জন্মেছে। বর্তমানে স্থানীয়রা এ মাঠে মাছ শিকার করেন।
কৃষক সুলতান মাহমুদ বলেন, এই মাঠে ১০ বছর আগেও বোরো, আমন ও পাট চাষ করা হতো। কিন্তু জলাবদ্ধতা কারণে এখন শুধু বোরো চাষ করা হয়। অন্য কোনো ফসল আবাদ করা সম্ভব হয় না।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার লুনা বলেন, মাঠটি পরিদর্শন করে স্থানীয় জনসাধারনের সহযোগিতার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পদক্ষেপ নেয়া হবে।