সুজানগরে বিয়েতে প্রতারণা ৭ দিন পর ডিভোর্স বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

পাবনার সুজানগরে বিয়েতে প্রতারণা ৭ দিন পরে ডিভোর্স, প্রতারকের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে সুজানগর প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগী উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল সরদারের মেয়ে মীম আক্তার। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ভায়না গ্রামের বকুল মন্ডলের ছেলে সোহাগ হোসেনের সাথে দীর্ঘ ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এরপর থেকেই সোহাগ আমাদের বাড়ীতে যাতায়াত করতো, আমার নাকফুল পড়িয়ে তাদের আত্মীয় স্বজন সহ বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যেতো, বিয়ের কথা বললে, বেশকিছু দিন যাবত আমার সাথে দুরত্ব রেখে চলাফেরা করার কারণে, আমি তাদের বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান করি। তখন ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন ও সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মিলন সহ স্থানীয় লোকজন মিলে সোহাগের সাথে আমার বিয়ে দেয়, ৫ দিন সংসার জীবন অতিবাহিত হওয়ার পর সোহাগ আমাকে নিয়ে আমাদের বাড়ীতে যায় এবং আমাকে বলে কয়েক দিন পর এসে তোমাকে নিয়ে যাবো বলে রেখে আসে, ৭ দিন পরে আমি ডিভোর্সের কাগজ পাই। ডিভোর্সের কাগজের উপর দেনমোহর ধার্য অংক দেখে আমি হতবাক হয় যাই, কারণ আমি জানি আমার দেনমোহর ৫ লাখ টাকা, কিন্তু কাগজে দেখি ৫০ হাজার টাকা মাত্র। দেনমোহর ধার্যে নামে আমার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মিলন জড়িত বলে মনে করি। আমি এই প্রতারণার বিচার ও স্ব সম্মানে সংসার জীবনে ফিরে যেতে চাই। এখন আমাকে বিভিন্ন ভাবে মানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে, সোহাগ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা হওয়াতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা কিছুই করতে পারছি না, তাদের ভয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। উল্লেখ্য “ সুজানগরে ছাত্রলীগ নেতার বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে যুবতীর অবস্থান” শিরোনামে গত ১৮ আগস্ট একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও “সুজানগরে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় অবশেষে সোহাগের বাড়ীতেই বিয়ে হলো মীমের” শিরোনামে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো।