পাবনার সাঁথিয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থী অন্তর হত্যার সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার না হওয়ায় শঙ্কায় পরিবার

শফিক আল কামাল (পাবনা) ॥ পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার গাঙ্গুহাটি গ্রামের মোল্লাপাড়া’র জালাল হোসেন’র ছেলে ও ঢাকা সোনারগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিলি ইঞ্জিয়ারিং তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী অন্তর হত্যা মামলার প্রকৃত আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় গভীর শঙ্কায় পরেছেন পরিবার ও স্বজনরা।
গেল ১লা জুন ২০২০ খ্রি. অন্তরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হাত ও পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নির্মমভাবে হত্যা করে এলাকার টিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে পাবনার আতাইকুলা থানায় ১০জনসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহতের মা মনজিলা খাতুন। ঘটনার বিবরণে জানা যায় একই এলাকার ওয়াজ সরকারের ছেলে ইরাক প্রবাসী মিন্টু সরকারের স্ত্রী রুপা খাতুন (২৫) এর সাথে মামলার এজাহার নামীয় আসামী আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাজের পরকিয়া সম্পর্কের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় জানের কাল হয়ে দাঁড়ালো মেধাবী শিক্ষার্থী অন্তরের।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ছেলে হত্যার বিচার দাবিতে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে ৬ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেন। তবুও আসামীরা প্রভাশালী হওয়ায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়। যার কারণে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলার ২জন আসামী (রনি ও আশুরা খাতুন) ধরা পড়লে নিহতের পরিবারের উপর প্রাণ নাশের হুমকীসহ মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে আসামী পক্ষের লোকজন। ছেলে হারিয়ে শোকাহত পরিবার দিশেহারা তারপর সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নিহতের পরিবার। এজন্য নিহতের পরিবার নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে আতাইকুলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং-১০১৮, তারিখ-৩১ জুলাই, ২০২০ খ্রি.

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মামলায় এজাহার নামীয় ২নং আসামী শাহিনকে বাঁচাতে তাঁর আপন ভাই রাজশাহী আরএমপি’র এ এস আই শামছুল ইসলাম ওরফে বাট্টু এবং চাঁদপুর জেলার পিবিআই এ কর্মরত বাচ্চু আসামীর তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে বাদীকে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। নিরীহ মেধাবী শিক্ষার্থীর অন্তরের মত আর কাউকে যেন অকালে জীবন দিতে না হয়, তাই এলাকার সচেতন মহল ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পাবনা জেলা’র সাব-ইন্সপেক্টর এ কে এম বজলুর রশিদ জানান, মামলার এজাহার নামীয় আসামী রনি কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে এই মামলার সঠিক তদন্তের স¦ার্থে আদালতের নিকট ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।