অন্ধকার ঘরের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে দুঃখী আকিঞ্চনের মতো, আজও আমি খুঁজে বেড়াই আমার জন্মদাত্রী, স্নেহময়ী মাকে।
আজো আমি খুজে বেড়াই আমার দুরন্ত শৈশব খেয়াল খুশিতে ভরা যা ইচ্ছে যখন দুষ্টুমিতে ভরা সেই নিরুদ্দেশ দিনগুলোকে। আজ সেই স্মৃতির পাহাড় গুলো, চুপি চুপি হেঁটে আসে আমারঅজান্তে সতর্ক চোরের মতো, রাত্রিগুলোতে পায়চারি করে আমার হৃদয়ের রক্তাক্ত বারান্দায়। মৃণাল মেঘের মিনারে লুকিয়ে থাকা আমার মায়ের মুখ খানি অতি সন্তর্পণে উকি মারে চোখের দরজায়। ঘুরে ফিরে আসে আর যায় অভিমানী মা আমার সোহাগে স্নেহে সুখে-দুখে আবেগে উচ্ছ্বসিত হয়ে মমতাময়ী মা আমার। কাছে টানে না যে আর। তোমার চির নিত্য দিনের সাথী বন্ধু অসহায় বাবাকে আমার জীবন নৌকায় একা ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেছো ধরা ছোঁয়ার অনেক ঊর্ধ্বে। অনেকগুলো বছরের তিলে তিলে গড়ে ওঠা তোমার সযতেœর সংসার। সেখানটায় তোমার পদচিহ্নের বড় অভাব যে আজ তোমার অতি সতর্ক রাখা চাবির গোছা টি পড়ে থাকে যে বড্ড অযতেœ জানি আর কোনভাবেই তোমার মুখখানি দেখা হবে না আর নিয়তি দেবে না সে সুযোগ মাথা কুটে মরে গেলেও। শুধুই তোমার স্মৃতিগুলো প্রতিনিয়ত অব্যক্ত বেদনার ভারে তাড়িয়ে নিয়ে ফিরে শুধু আমাকে।