কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় চলতি বছর টানা তিন বারের বন্যায় বিপুলসংখ্যক মানুষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ঘরবাড়ি, খেতের ফসল, বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষকৃত জলাশয়গুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাণিজ্যিক মৎস্যচাষি ছাড়াও নিজেদের পুকুরের মাছ থেকে যেসব কৃষক পরিবার তাদের পুষ্টিচাহিদা আংশিকভাবে পূরণ করতো তারাও এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মাছের ক্ষতির ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। আর বাণিজ্যিকভাবে মাছ উৎপাদন করেন এমন ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যচাষির সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। এই বন্যায় উপজেলায় মৎস্য খাতে এ পর্যন্ত যে ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা।
শনিবার সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবে এসে মৎস্য চাষী সুবন দাস, সাইফুল ইসলাম ও নির্মল কর জানান, বন্যায় তাদের ঘরবাড়ি ও গবাদিপশু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অর্থসংকট দেখা দিয়েছে। তাদের শুধু বাণিজ্যিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতা নয়; ঘরবাড়ি নির্মাণ, মেরামতসহ স্বাভাবিক জীবনে ফেরায়ও বাধা। তাই তারা সরকারের কাছে নগদ অর্থসহায়তা চায়। তারা আরও জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যেমন বীজের ব্যবস্থা করা হয়, তাদের জন্যও তেমন পোনার ব্যবস্থা করা উচিত। এই বাবদে তারা নগদ অর্থ পেলে তারা নিজেরাই পোনা সংগ্রহ করতে পারবেন বলেও তারা জানান।
এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিক রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যচাষীদের তালিকা করে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যচাষিদের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে।