নাটোর প্রতিনিধি—ঝুম বৃষ্টিতে ভিজছিল কিশোরীর নিথর দেহখানা। কিশোরীটির রহস্যজনক মৃত্যুর পর তারই স্বামী প্রাণহীন স্ত্রীর লাশ ফেলে গেছেন। গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর বাজারের যখন লাশটি দেখে সোরগোল পড়ে গেছে। স্বামী সাগর ততক্ষণে চম্পট দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাত প্রায় দশটার দিকে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রাখোঁজ নিয়ে জানাগেছে-খুবজীপুর গ্রামের লিয়াকত সরকারের ছেলে সাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন নিহত আকলিমা ( ১৪)। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি আকলিমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, সাগরের প্রথম স্ত্রীও ৭ মাস পূর্বে বিষ পানে আত্বহত্যা করে। আকলিমা তাড়াশ উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে। খুবজীপুরেই বড় মেয়েকে বিয়ে দেন আশরাফ। সেই সুবাধে একই গ্রামে ভগ্নিপতি টিক্কার বাসায় থাকতো আকলিমা সেই সুযোগেই আকলিমার সাথে সাগরের সখ্যতা গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুবরণ করার আকলিমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে সাগর। সংসারে সারাক্ষণ ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। স্বামী সাগরের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ভগ্নিপতি টিক্কার বাসায় গিয়ে গলায় দড়ি দেয় বলে প্রতিবেশীরা জানান।পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ডাক্তারের কাছে নিলে ডাক্তার তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। তখন তার স্বামী সাগর মৃত্যু স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যান।আকলিমার ভগ্নিপতি টিক্কা জানান,বিয়ের পর থেকেই তার শ্যালিকাকে সাগর অত্যাচার করত। মাঝে মধ্যে মারধর করত। ঘটনার দিন ২৫ আগাষ্ট মঙ্গলবার আকলিমা আমার বাসায় আসে। সবার অলক্ষে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্বহত্যা করে।প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা খুলে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিলে ডাক্তার তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে রাতেই নাটোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।এব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের ফলাফল পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।