শিমুল, দিনাজপুর প্রতিনিধি :
দিনাজপুরে ২৬ আগষ্ট ফুলবাড়ী ট্রাজিডি দিবসে আবারো ৬ দফা ফুলবাড়ী চুক্তি বাস্তবায়নে জোর দাবী জানানো হয়। ১৪ বছরে চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তেল গ্যাস ,খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে আজ বুধবার সকাল থেকে ফুলবাড়ীতে তেল গ্যাস ,খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং বিভিন্ন পেশা জীবি সংগঠন ও ফুলবাড়িবাসীসহ বিভিন্ন সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদা ও কালো পতাকা উত্তোলন,নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন,শোক র্যালী ,কালো ব্যাজ ধারন এবং আলোচনা সভার মাধ্যমে দিনটি পালন করেছে।
সকাল ১১ টায় ফুলবাড়ী রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জুয়েলের নেতৃত্বে একটি শোক র্যালী ঢাকা মোড় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে ছোট যমুনা নদীর তীরে শহীদদের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায় এবং সেখানেই স্মরন সভায় মিলিত হয় তারা। এখানে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড কমিউনিষ্টলীগের কেন্দ্রিীয় কমিটির সা:সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সিপিবি নেতা মো: নুরুজ্জামানসহ অন্যরা। এর পর ফুলবাড়ী পেশাজীবি সংগঠনের নেতা পৌরসভার মেয়র মর্তুজা মানিকের নেতৃত্বে বিশাল একটি শোক র্যালী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। তবে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারনে সকল কর্মসূচী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পালন করা হয়েছে। সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের ব্যানারে একটি শোকর্যালী বের করে ফুলবাড়ীবাসী।
র্যালীটি শহরের ঢাকা মোড় হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ২০০৬ সালের নিহতদের শহীদ স্মৃতিস্তমে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ বেদীতে পুস্পার্ঘ অর্পন ও শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। শপথবাক্য পাঠে নেতৃত্বদেন ফুলবাড়ী আন্দোলনের নেতা ও ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক। পরে ফুলবাড়ীবাসীর পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবীর একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য ২০০৬ সালের ২৬ আগষ্ট। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনি প্রকল্প বাতিল, জাতীয় সম্পদ রক্ষা এবং বিদেশী কোম্পানী এশিয়া এনার্জীকে ফুলবাড়ী থেকে প্রত্যাহারের দাবীতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। দুপুরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল নিমতলা মোড়ের দিকে এগুতে থাকলে প্রথমে পুলিশ বাধা প্রদান করে। পুলিশের বাধা পেয়ে বিশাল মিছিলটি জঙ্গী রূপ নেয়। পুলিশ-বিডিআর-এর বেড়িকেট ভেঙ্গে মিছিলটি এগুতে থাকলে আন্দোলনকারীদের উপর টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করা হয়। তৎকালীন বিডিআরের গুলিতে এসময় নিহত হয় আল আমিন, সালেকীন ও তরিকুল। আহত হয় শতাধিক আন্দোলনকারী জনতা।