রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় ভিক্ষুক সুবেদা বেওয়া (৬০) ও তার মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা সোহাগী বেগম (৩২)কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বাড়ি দখল করে নিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। পৌরসভার সুলতানপুর মহল্লার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে আলী হোসেন (৪৫), মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে মামুনুর রশীদ মামুন, তার ছেলে তুফান আলী (২৬) ও একই এলাকার মৃত মুনতাজ আলী ছেলে মাহাবুর রহমান এঘটনাটি ঘটায়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় বেপোয়ারা হয়ে উঠেছে তারা। এবং তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ভিক্ষক সুবেদা বেওয়া ও তার মেয়ে সোহাগী বেগমকে তাদের বাড়িতে উঠতে দেয়নি। বর্তমানে মা-মেয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত (১৪ আগস্ট) শুক্রবার সকালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উপরোক্ত প্রভাবশালীরা ভিক্ষুকের মেয়ে সোহাগী বেগমকে বেধরক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে পরনের কাপুড় খোলে নেয়। এসময় সোহাগী বেগম নিজের জীবন ও ইজ্জত রক্ষা করতে পুকুরের পানিতে ঝাপ দিয়ে তিনি প্রানে বেঁচে যান। মেয়েকে মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে ভিক্ষক সুবেদা বেগম বাড়ি থেকে কাপড় নিয়ে মেয়ের খোঁজে বের হন। এবং তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়েকে দেখতে পেয়ে তার পরনের কাপড় দিয়ে দুপুরে নিজ বাড়ি সুলতানপুর মহল্লায় ফিরে আসে। এবং ভিক্ষক সুবেদা বেগম বাড়িতে ফিরে আসার সাথে সাথে উপরোক্ত ব্যক্তিদ্বয়গন সংঘবদ্ধ হয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে দখলে নিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত রক্তাক্ত ভিক্ষক সুবেদা বেওয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে ভিক্ষক সুবেদা বেওয়া ও তার মেয়ে সোহাগী বেগমের অবস্থা আশংক। ভিক্ষকের মেয়ে সোহাগী বেগমের অভিযোগ, হামলাকারীরা আমার বর্তমান স্বামীর বড় ভাই, ভাতিজা ও তালাক দেয়া স্বামী মাহাবুর রহমান আমার ও আমার মায়ের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ক্ষ্যান্ত হয়নি। বর্তমান স্বামী মুনজুর রহমানকে বেধরক মারপিট করে তাকে বাড়িতে আটকে রেখেছে। এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, থানায় এসে অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।