বীরগঞ্জে প্রশাসন এলোমেলো- সমন্বয় হীনতা স্বাভাবিক কর্মকান্ড স্থবির

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যপক অনিয়ম, ঘুষ-দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অশালিন আচড়নের অভিযোগ এনে ১০জন ইউপি চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় সহ উপর মহলে অভিযোগ করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে সোচ্চার আছেন ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির টানা-পোড়েন চলছে ইউএনও’র হিংসাত্বক মনোভাব, প্রতিহিংসা বশত অশালিন আচরণ, ও জনপ্রতিনিধিদের অফিসে ডেকে এনে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে জরিমানা আদায় করা ও ভ্রাম্যমান আদালতের হুমমি প্রদর্শন করার কারনে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের ইউএনও’র সাথে দীর্ঘদিন থেকে দুরত্বের সৃষ্টি হয়। ইউএনও’র আহবানে কোন সভা-সমাবেশ-সেমিনার কিংবা উন্নয়ন বিষয়ক সমন্বয় মিটিংয়ে যোগদান না করে বিরত রয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় বিষয়টি আমলে নিয়ে দুনীতিবাজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেনকে গত ১২ জুলাই/২০২০ইং চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বদলী করা হয়। বদলী জনিত কারনে তাকে কয়েক দফা আনুষ্ঠানিক বিদায় দেয়া হয়েছে। ফলে তার সাথে কর্মরত অন্যরা অনেকাংশে কর্মচাঞ্চল্যতা হারিয়ে ফেলেছে। সবাই প্রহর গুনছেন কবে কখন নতুন নির্বাহী অফিসার যোগদান করবেন। কিন্তু উপর মহলের উদসিনতার ও তেলেসমাতির কারনে দাফিয়ে বেড়াচ্ছে নিলজ্জ কর্মকর্তা।

অসন্তোষ ১০জন ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, দেয়ালে পিঠঠেকে গেছে-আমরা মারাত্মক সমন্বয় হীনতায় ভুগছি, উন্নয়ন মুলক প্রকল্প সমুহ নিয়ম বহির্ভ‚ত ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একক সিদ্ধান্তে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) সংবাদ মাধ্যমকে জানান, উপজেলা প্রশাসনের সাথে জনপ্রতিনিধিদের বৈরিতার কারনে স্বাভাবিক কাজের গতি-মান কমে গেছে ও উন্নয়নে মারাত্বক বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। শাস্তি মুলক বদলী হওয়ার পরেও উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপর নির্যাতন চালচ্ছে, অকারনে কৈফিয়ৎ তলবের নোটিশ জারি করে হয়রানী করছে।

মাসাধিক কাল পুর্বে বদলী হওয়া অফিসারের সাথে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে হচ্ছে। তাছাড়া ইউএনও’র মন মেজাজ সব সময় অন্য রকম খিটখিটে। আগের মত কর্ম চাঞ্চল্যতা নাই। তারা সকলেই অবিলম্বে এ অবস্থার অবসান চান। ইউএনও নিজেই বা বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁর দুর্নীতির কর্মকান্ডের বিল ভাউচারে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য ১০জন ইউপি চেয়ারম্যানদের উপর চাপসহ স্বাক্ষর নেযার জন্য তাদের সাথে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ স¤পাদক নুর ইসলাম, কৃষকলীগের সভাপতি শিবলী সাদিক, যুবলীগের সভাপতি নুরিয়াস সাঈদ, সাধারন স¤পাদক মোসাদ্দেক হোসেন সহ সুধী মহলের অনেকেই সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত জানান, আমরাও চেয়ারম্যানগনের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করছি এবং বলছি বদলী কোন শাস্তি নয়, দূর্নীতিবাজ অফিসারের বিচার চাই-করতে হবে।