রাজশাহীর পুঠিয়া-তাহেরপুর সড়কটি ছোট বড় খানাখন্দকের কারনে চলাচলের জন্য যানবাহন ও পথচারীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলে বর্তমানে রাস্তাটি যানবাহন চলাচল ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। এ সড়কটিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পড়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বিকল হওয়াসহ অহরহ ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। অনেক সময় প্রানহাণির মত ঘটনাও ঘটছে। ফলে দীর্ঘ দিন থেকে রাস্তার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি হলেও এমপি,চেয়ারম্যান ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন মাথাব্যাথা। তবে কয়েক দিন ধরে নামমাত্র সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার নামে শুধু দ্ইু নম্বর ইট আর ভরাট দিয়ে চাপা মারা লোক দেখানো সংস্কার কাজ। কিন্তু সকালে চাপা মারা সংস্কার করে যেতে না যেতে বিকালে আবারো সেই স্থানে ছোট বড় খানাখন্দে পরিনত হচেছ। এবং সড়কের গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও এর আশপাশে কিছু জায়গায় ইট ভরাট দিয়ে সংস্কার কাজ দেখানো হয়েছে। আর বাকি সড়ক জুড়ে তেমন কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। হাজার হাজার এলাকাবাসীর অভিযোগ রাস্তাটি গত ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৩০ লাখ টাকায়
নি¤œমানের জিনিসপত্র দিয়ে সংস্কারের কাজ করায় আজ রাস্তাটির এমন দুর্দশা। আর এই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহ প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরপুর। আর এ খানাখন্দ অতিক্রম করতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগি যাত্রী ও সাধারন জনগনের। আর এতে ঘটছে প্রানহাণির মত বড় ঘটনা। এদিকে,রাজশাহী জেলার বিখ্যাত তাহেরপুর পৌরসভাহাট দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়িক এলাকা। এখান থেকে প্রতিদিন পেঁয়াজ,আলু,মাছ,কলা,পানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সড়কটি দিয়ে পরিবহন করা হয়। ১০ ফুট চওড়া এক লেনের এ সড়কটিতে শতাধিক ভারী যানবাহনসহ অসংখ্য যাত্রীবাহী যান চলাচল করে। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি পূর্ণ সংস্কার না করায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চলাচলকারী যাত্রীদের প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কের গর্তে জমা পানি যানবাহনের চাকা থেকে ছিটকে পড়ে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে পথচারীদের পরিধেয় বস্ত্র। সড়কটির পূর্ণ সংস্কার না করা হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা। এলাকাবাসি জানান,পুঠিয়া-তাহেরপুর সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও র্দুর্নীতির কারণে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। রাস্তায় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি ও বড় বড় গর্তের কারণে বিভিন্ন স্থানে ট্রাক-বাস আটকা পড়ছে। এতে করে ১৭ কিলোমিটার এই সড়কে সব ধরনের যানবাহন ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পুঠিয়া থেকে তাহেরপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়কটির জরাজীর্ণ স্থানগুলো সংস্কার করার জন্য কাজ চলছে। প্রকৌশলী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের সহযোগিতায় নামমাত্র সংস্কার কাজ চলছে। এবং সংস্কার নামে চলছে শুধু দ্ইু নম্বর ইট আর ভরাট দিয়ে চাপা মারা লোক দেখানো সংস্কার কাজ হচ্ছে। কিন্তু সকালে চাপা মারা সংস্কার করে যেতে না যেতে বিকালে আবারো সেই স্থানে ছোট বড় খানাখন্দে পরিনত হচেছ। এবং সড়কের গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও এর আশপাশে কিছু জায়গায় ইট ভরাট দিয়ে সংস্কার কাজ দেখানো হয়েছে। আর বাকি সড়ক জুড়ে তেমন কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। আর এ কারনে পুরো সড়ক জুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যানবাহনগুলো সড়কের গর্তে পড়ে আটকে যাচ্ছে। আবার অনেক সময় গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভেঙে গাড়ি রাস্তাতেই উল্টে পড়ে যাচেছ। তবে সড়কের কার্পেটিং নতুনভাবে তৈরি করার নিয়ম থাকলেও নামমাত্র সংস্কার করার কারণে এই সড়কে যানবাহনসহ সাধারণ পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচেছ। অপরদিকে, এ রাস্তায় চলাচল কারী অটো চালক ইদ্রিস আলী, ভটভটি চালক গোলাম,আসাদুল ও মজিবর রহমান জানান, আমরা প্রতিনিয়ই তাহেরপুর থেকে পুঠিয়ায় মানুষ নিয়ে যাতায়াত করি। কিন্তু এপর্যন্ত এমন রাস্তা কোথাও দেখিনি। এর আগে লোক দেখানো ইটের সুড়কি ও পিচ দিয়ে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ করা হলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারো পিচ উঠে গিয়ে আগের অবস্থানে ফিরে যায় রাস্তাটি। আর এ জন্য রাস্তাটির তদারকি না থাকাকে দায়ী করলেন ওই চালকরা। রাজশাহী সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন,পুঠিয়া-তাহেরপুর-ভবানীগঞ্জ ২৭ কিলোমিটার সড়কের জন্য ১৩০ কোটি টাকা একনেকে অনুমোদন হয়েছে। সড়কটি ২৪ফুট চওড়া করা হবে।দীর্ঘদিন ধরেই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য ছিলো। এই সড়কটি রাজশাহীর পুঠিয়া,তাহেরপুর,ভবানীগঞ্জ ও বাগমারা উপজেলাসহ নওগাঁর বেশকিছু এলাকার মানুষের যোগাযোগের প্রধান সড়ক।