নেত্রকোনা দুর্গাপুরে ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাত্রদল কর্মী বানিয়ে অপপ্রচার ও মারপিটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। শুক্রবার সকালে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার ধানশিরা গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র মোঃ কাইয়ুম আহমেদ জানান, গত গত ১১ আগস্ট বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে “যুবলীগ কর্মীকে মারধরের ঘটনায় দুর্গাপুর থানার ওসি ক্লোজড” প্রকাশিত সংবাদে আমাকে ছাত্রদল কর্মী হিসেবে আখ্যায়িত করে আমার পিতার নাম ঠিকানাও ভুল প্রকাশিত করা হয়েছে। আমার বাবা আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে আমি নিজেও আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হয়ে দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে আসছি। গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় দুর্গাপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পৌরসভার কাচারীমোড় থেকে আলম তালুকদার এর নেতৃত্বে আমাকে মারধর শুরু করে। আমার সাথে থাকা মোহাম্মদ জিএম মিয়া ও মোহাম্মদ মাহবুব কোন রকমে নিজেদের জীবন বাঁচিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে আমার হাত-মুখ বেঁধে অপহরণ করে মেছুয়া বাজারে ইয়াকুব তালুকদারের বাসায় নিয়ে মারপিট করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মোবাইল ফোনে আকাশ তালুকদার কে মারার জন্য আমি দুর্গাপুরে আসছি এমন মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বলে। আমি এই মিথ্যা জবানবন্দি দিতে রাজি না হলে পুনরায় কয়েকদফায় লাঠি-সোটা, বেল্ট, ষ্ট্যাম্প ও চেইন দিয়ে বেদম পিটিয়ে আমাকে আহত করার একপর্যায়ে সোহাগ তালুকদার রামদা দিয়ে আমাকে আঘাত করতে আসলে তাদের সাথে থাকা একজন আঘাতটি ফিরিয়ে ফেলায় অল্পের জন্য আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও রামদার বাটের আঘাত আমার বাম চোখের উপরের লাগলে আমি গুরুতর আহত হই। আমাকে নিয়ে যাওয়ার সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আলম তালুকদার পাকা সড়কে পড়ে মাথায় আঘাত পায়।
এদিকে আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পরিবারের লোকজন জানতে পেরে দুর্গাপুর থানা পুলিশের সহায়তায় আমাকে ইয়াকুব তালুকদারের বাসা থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পরে আমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ইয়াকুব তালুকদারের বাসা থেকে রামদা, চেইন ও লাঠিসোটা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার আলোকে বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রপত্রিকায় আমাকে ছাত্রদল কর্মী হিসেবে হিসেবে আখ্যায়িত করে মারপিটের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে। পত্রপত্রিকায় এই অপপ্রচারে আমি এবং আমার পরিবার মর্মাহত। সেই সাথে ওইদিনের ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাইয়ুম আহমেদ এর মা হাফিজা খাতুন, নানি ফাতেমা বেগম ও ভাই মো. সানি মিয়া।