ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
শ্রীকৃষ্ণ হলেন দেবকী এবং বাসুদেবের সন্তান। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় চারিদিকে নিপীড়ন অত্যাচার চরম পর্যায়ে গিয়েছিলে। সেই সময়ে সর্বত্র অশুভ শক্তির বিস্তার ঘটেছিল। দেবকী এবং বাসুদেবের অষ্টম সন্তান হলেন কৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণের মামা কংসের হাত থেকে বাঁচাতে মথুরায় কৃষ্ণের জন্ম হলেও, জন্মের পরেই তার বাবা বাসুদেব শিশু পুত্রকে নিয়ে প্রবল ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্যে যমুনা পার হয়ে গোকুলে নিয়ে আসে এবং শিশু কৃষ্ণকে তার পালক পিতা মাতা নন্দ এবং যশোদার কাছে রেখে যান। জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী হল হিন্দুদের একটি উৎসব। বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটি কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টামী , শ্রীকৃষ্ণ জয়ন্তী নামেও পরিচিত। পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপরে অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নত্রের প্রাধান্য হয় তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এবারেই শ্রাবণ মাসের তিথিতে জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে। তবে ইংরেজি ক্যালেন্ডারে প্রতিবছর আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জন্মাষ্টমীর দিনটি আসে।
করোনা মহামারির কারণে এবছর অনাড়ম্বরপূর্ণ ভাবে ঈশ^রদীতে উদযাপিত হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ জন্মাষ্টমী। এবারে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ছিল না শোভাযাত্রার আয়োজন। করোনার দুর্যোগ থেকে পরিত্রান ও বিশ্ব শান্তির জন্য ঈশ্বরদী ঠাকুরবাড়ি সত্য নারায়ণ বিগ্রহ মন্দিরে প্রার্থণার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা হতে এই মন্দিরে গীতাপাঠ আর কীর্তনের আয়োজন করা হয়। ঈশ্বরের কাছে সকল দুর্যোগ থেকে মুক্তির আশায় প্রার্থনার কথা জানালেন ভক্তরা।
এসময় ঠাকুরবাড়ি সত্য নারায়ন বিগ্রহ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার কুন্ডু, পূজা উদযাপন পরিষদের ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটির সভাপতি সুনিল চক্রবর্তি, সহ-সভাপতি মিলন কর্মকার, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সুব্রত বিশ্বাস, রতন কুমার দে, শাওনসহ নারী ও পুরুষ ভক্তরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।