ফিরে পাওয়া সেই হেলালের অসহায় পরিবারের পাশে সহায়তা নিয়ে ওসি

মানসিক প্রতিবন্ধি হেলাল (৪০)। সে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লার মৃত আক্কাছ মন্ডলের অসহায় ছেলে। ১৪ বছর আগে হারিয়ে যায়। অবশেষে বরিশালের খোকন নামের এক ব্যবসায়ী নাটোরের ব্যবসায়ী তারেক মিয়ার সহযোগিতায় ২৯ জুলাই বুধবার হেলালকে বরিশাল থেকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এ খবর শুনে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম রোববার বেলা ১১টার দিকে হেলালকে দেখতে তাদের বাড়িতে যান। তাদের আসহায়ত্ব দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ওসি। হেলালের মা সাজেদা বেওয়ার হাতে তুলে দেন খাদ্য সহায়তা। এভাবেই মানবতার প্রস্ফুটিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই পুলিশ অফিসার। তাছাড়া দয়া পরবশ ব্যবসায়ী খোকনের সহযোগিতায় হেলালকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ায় ওই পরিবারে যেন ঈদ আনন্দ চলছে।
ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ২৬ বছর আগে হেলালের বাবা মারা যান। হেলালকে নিয়ে মা সাজেদা কোনোমতে দিনযাপনের এক পর্যায়ে হেলাল হারিয়ে যায়। এরপর তার মা অসহায় বৃদ্ধ হয়ে পরেন। বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়েছেন তিনিও। হেলাল মানসিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় তেমন কাজ কর্ম করতে পারেন না। তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অসহায়দের জন্য গুরুদাসপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এই সহায়তা প্রদান অব্যহত থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলা থেকেই হেলাল খুব ন¤্রভদ্র কিন্তু মানসিক রোগী। যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতো। বাড়ি থাকেনা, আবার আসে। বরিশাল কোর্টরোডের নাছির স্টোরের মালিক মো. খোকন জানান, প্রায় ১২ বছর আগে হেলাল বরিশালে আসে। পাগল বেশে ঘুরে বেড়ায়। ঘরোয়া ও আকাশ হোটেল থেকে তাকে মাঝে মধ্যে খাবার দেওয়া হতো। অনেকের টুকিটাকি কাজও করে দিত হেলাল। এভাবে এলাকায় তার সততা ও পরিচিতি বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায়ী খোকন তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতো। হেলালও তার দোকানের জন্য পাইকারী মালামাল কিনে আনতো। বিশ^াসী হওয়ায় খোকন তাকে ভালবাসতেন এবং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতেন।