রাজ পরিবারের প্রথা অনুযায়ী নৌপথে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে শ্রীশ্রী কান্তজীউ বিগ্রহের যাত্রার উদ্বোধন

দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্টের সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, ৯ আগষ্ট সকালে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার কান্তনগরে শ্রী শ্রী কান্তজীউ বিগ্রহ নৌপথে দিনাজপুর শহরের রাজবাটীর উদ্দেশ্যে যাত্রার উদ্বোধন করেন।

ঐতিহ্যবাহী কান্তনগর মন্দির হতে পূজা অর্চনা শেষে কান্তজীউ বিগ্রহ ঢেপা নদীর কান্তনগর ঘাটে আনা হয়। সেখান থেকে নৌবহর নিয়ে যাত্রা শুরু হয় দিনাজপুর শহরের সাধুর ঘাটের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ প্রায় ২৫ কিলোমিটার নদীপথে নৌকাযোগে দিনাজপুর আসার সময় চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী বিগত সময়ে হিন্দু ধর্মালম্বী লাখ লাখ ভক্ত নদীর দু’কুলে কান্তজীউ বিগ্রহকে দর্শনের জন্য ভীড় জমালেও এবার তার চিত্র ছিল ভিন্ন। সকলে নিজ নিজ স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নদীর দুই কুলে কান্তজীউ বিগ্রহকে দেখতে আসে ভক্তবৃন্দ। বিভিন্ন স্থান থেকে আগত হিন্দু পূর্ণ্যার্থীরা তাদের বাড়ীর বিভিন্ন ফল, দুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদী নিয়ে শ্রী শ্রী কান্তজীউ বিগ্রহকে উৎসর্গ করার জন্য নিয়ে আসে।

কান্তনগর ঘাট থেকে দিনাজপুর শহরের সাধুরঘাট পর্যন্ত ৩০টি ঘাটে কান্তজীউ বিগ্রহ বহনকারী নৌকা ভিড়ানো হবে। এ কারণে বিভিন্ন ঘাটে ও শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটেই পূর্ব থেকে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮ টায় কান্তজীউ বিগ্রহ সাধুঘাটে এসে পৌছালে দিনাজপুর রাজদেবোত্তর এষ্টেটের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা কান্তজিউ বিগ্রহ গ্রহন করবেন। পরে বিগ্রহটি শহরের বিভিন্ন মন্দিরে পুজা-অর্চনা শেষে রাজবাড়ী মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দিনাজপুর-১ আসনের এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, রাজ পরিবারের রীতি অনুযায়ী কান্তজীউ বিগ্রহ ৯ মাস কান্তনগর মন্দিরে এবং ৩ মাস দিনাজপুরের শহরের রাজবাড়ীতে অবস্থান করেন। বিশেষ প্রার্থনায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সুস্থতা ও নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা এবং জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনায় করা হয়। এসময় বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব যাতে এই মহামারি থেকে দ্রæত রক্ষা পায় সে প্রার্থনাও করা হয়। রোববার দিবাগত রাত ১২টায় শ্রী শ্রী কান্তজিউ বিগ্রহ দিনাজপুরের রাজবাড়ী মন্দিরে স্থাপন করা হবে।