লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ২১ বাংলাদেশির আহত হওয়ার খবর জানা গেছে। আহতদের সবাই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্য এবং তাদের একজনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানা গেছে। পাশাপাশি বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে কোনো বাংলাদেশি নিহত হননি বলে জানা গেছে।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বিজয়’–এ ছিলেন আহত নৌসেনারা। দুর্ঘটনার পর ইউনিফিলের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের হামুদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত হলেও তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহত ওই নৌসেনাকে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত মেডিকেল সেন্টারে (এইউবিএমসি) ভর্তি করা হয়েছে।
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে কোনো বাংলাদেশি নিহত হননি বলে জানিয়েছেন লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অফ চ্যান্সারি আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, সামরিক বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন এবং নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস বিজয় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতের সংখ্যা অনন্ত ১০ জন। এদের মধ্যে দুইজন গুরুতর জখম হয়েছেন, বাকিরা কানে মাথায় ব্যথা পেয়েছেন। খবর পেয়েই রাষ্ট্রদূতসহ আমরা বন্দর এলাকায় পৌঁছে যাই এবং আহত বাংলাদেশিদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করি।
মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের একটি গুদামে বড় ধরনের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো শহর। এই বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এ ছাড়া এই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিস্ফোরণ দুইটি এতোটাই শক্তিশালী ছিল যে, বিস্ফোরণস্থলে কয়েক মাইল দূরের ভবনের জানালাও ভেঙে গেছে। বিস্ফোরণের পর সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এক মুখপাত্র জানান, কোনো ধরণের সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই ওই গুদামে প্রায় ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট গত ছয় বছর ধরে ছিল।
এদিকে সর্বশেষ প্রতিবেদনে অনুসারে, দেশটিতে বিশাল এই জোড়া বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত অন্তত ৪ হাজার মানুষ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।