দুই ঈদের নামাজ পড়ার নিয়্যাত এবং নিয়ম:

পবিত্র ঈদের নামাজ যদিও আমরা জামাতের সঙ্গে আদায় করি তারপরও অনেক সময় ইমাম-মুক্তাদী সকলের মাঝে মাঝে ভুল হয় ,তাই কিছু বন্ধুদের অনুরোধে দুই ঈদের নামাজের নিয়মাবলী লিখতে কলম ধরলাম।
নিয়্যাত
আমি ঈদুল ফিতর /ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয়টি ওয়াজিব তাকবীর সহ আদায় করছি। এরূপ নিয়্যাত করে তাকবীরে তাহরিমার ন্যায় কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধবে। ইহাই তাকবীরে তাহরীমা ‌।


প্রথম তাকবীর
অতঃপর সানা পড়বে, আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পাঠ করবে না অতঃপর নামাজের তাকবীরে তাহরিমার ন্যায় কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলবে এবং হাত ছেড়ে দেবে।
দ্বিতীয়ত তাকবীর
অতঃপর তিনবার সুবহানাল্লাহ বলা যায় এ পরিমাণ বিলম্ব করে আবার অনুরূপ হাত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলবে ও হাত ছেড়ে দেবে ।
তৃতীয় তাকবীর
আবার অনুরূপ হাত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধবে‌‌। অর্থাৎ প্রথম তাকবীরে তাহারিমায় হাত বাঁধবে, মাঝখানে দুই বার হাত ছাড়বে, পুনরায় শেষ তাকবীরে হাত বাঁধবে, এখন অতিরিক্ত তিন তাকবীর হল।
এবং আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সূরা ফাতিহা অন্য সূরা পাঠ করবে।( ইহা ইমামের জন্য) মুক্তাদীগণ তাউজ তাসমিয়া এবং সূরা পাঠ করবে না।
ইমাম সাহেব আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা ও অন্য সুরাবায়া মিলিয়ে প্রথম রাকাত শেষ করবে


( দ্বিতীয় রাকাত)
এবং দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবে অতঃপর সুরা ফাতিহা ও অন্য সূরা বা আয়াত মিলিয়ে সরাসরি রুকুতে যাবে না
বরং প্রথম রাকাতের ন্যায় অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলবে ।
এখানে অতিরিক্ত তাকবীরে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে হাত ছেড়ে দেবে ।অর্থাৎ অতিরিক্ত তিন তাকবীরের একবারও হাত বাঁধবে না বরং ছেড়ে দেবে‌।
তারপর রুকুর তাকবীর বলে রুকুতে যাবে( হাত কান পর্যন্ত উঠাবে না )এবং যথা নিয়মে নামাজ শেষ করবে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের প্রত্যেকের ঈদুল আযহার নামাজ এবং কোরবানি কবুল করুন ।
সেই সাথে মাবুদের দরবারে ফরিয়াদ ইয়া আল্লাহ মেহেরবানী করে করোনা ভাইরাস থেকে গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ
তথা সমগ্র জাতিকে হেফাজত করুন ।