প্রতিশ্রুতি
যদি তুমি পাশে থাকো আমার সাথী
তবে আমি এ প্রেমহীন পৃথিবীতে এনে দেব,
ভালোবাসার সম্ভাবনাময় এক সোনালী সূর্য
মন্ত্র বলে দূর করে দেব আমি,
তমাসাচ্ছন রাত্রির কুয়াশার কাফন।
জীবনের পত্রহীন বৃক্ষে আমি এনে দেব
সবুজের আবরণ।
আমি অনুতপ্ত অন্ধকারে এনে দেব
স্নিগ্ধ সকাল।
যদি তুমি পাশে থাকো
তবে এ খরাতপ্ত শস্যহীন মাঠে গড়ে তুলবো
আশাতীত শস্যের
সোনালী খামার।
মন্ত্র বলে দূরে সরিয়ে দেব আমি,
জরাজীর্ণ বাধ্যকের বিষাক্ত ছোবল।
আমি এনে দেব চিরসবুজ
দুঃসাহসিক প্রদীপ্ত যৌবন।
বিষন্নতার গভীর নীলে
আমি এনে দেব নির্মল সুখ।
শ্রমের ঘামে দ্রোহের দামে
এনে দেব আমি নিষ্পাপ স্বাধীনতা।
সোমালিয়ার ঐ রুগ্ন অভুক্ত শিশুটি চোখে এনে দেব, বেঁচে থাকার অধিকারের পরম নিশ্চয়তা।
যুদ্ধের বদলে এনে দেব আমি
নিশ্চয়তার লাল গোলাপ।
আমি এনে দেব বিশ্বমানবতার এক শান্তির পতাকা।
কাল নিরবধি
সময়ের রথের চাকায় শুধু সামনে চলা
সময় বহতা নদী, বয়ে যায় নিরবধি।
যেন আলোর পানে প্রাণের চলা।
শৈশব, কৈশোর আর যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যে
মহাকালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া
সেই স্মৃতিময়, সোনালী রোদেলা স্নিগ্ধতার দিনগুলি।
রাত্রির জঠর থেকে নবীন সকাল
ছিঁড়ে আনার অদম্য দুঃসাহসিকতা।
সময়কে থামাতে চাই অন্তত আরও
কিছুটা সময়।
স্থবির বৃক্ষের পাতা যেন নড়ে না আজকাল।
গায়েনের দোতারায় এসে যেন জড়ো হয় বেভূলো প্রলাপ।
রাত্রির জঠর থেকে নবীন সকাল ছিড়ে আনতে নিয়ত নিজেই যেন হই সকালের রোদেলা স্নিগ্ধতা।
নেই যেন কোনো ক্লান্তি- মানব কল্যাণে।
জ্ঞানের অপার আলোয় বসবাস।
রবি ঠাকুরের কথায়-সে আজ কতকাল
মনে হয় এইতো সকাল
সময় মহাকালের গর্ভে হারিয়ে যায়, রেখে যায় বালিয়াড়ি স্মৃতিময় কত ছবি ভেসে ওঠে, চোখের পর্দায়।
তবুও বলি সময় বেগবান হও ফলবান হও জ্ঞানীর কলমের ডগায়।