‘জননেত্রী করোনা হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবেলা করে আমরা আবারো ঈদ আনন্দে মেতে উঠব।’ পাবনা জেলা মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর ফেরদৌস কণা ঈশ্বরদী ও আটঘোরিয়ার মানুষকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে একথা বলেছেন। তিনি বলেন, আহারে এমন ঈদও এল পৃথিবীতে! নেই হাত মেলানো, নেই কোলাকুলি! নেই নতুন পোশাক! নেই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে ছবি তোলাতুলি। প্রতিবছর ঈদে আমরা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি হাত মিলিয়ে, কোলাকুলি করে। ঈদের নামাজ ও মোনাজাত শেষ হওয়ার সাথে সাথে ঈদের মূল আনন্দ উৎসব শুরু হয় কোলাকুলি দিয়ে। কিন্তু মহামারি করোনাকালে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে সম্পূর্ণ অচেনা এক পরিবেশে। আমরা কখনোই প্রস্তুত ছিলাম না, এমন ঈদ উদযাপনের জন্য।
কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস আমাদের ফেলেছে এক কঠিন অবস্থায়। ঘরবন্দী পরিস্থিতিতে করোনা দিনের ঈদ সীমাবদ্ধ থাকছে কেবল অনলাইনে। অনলাইনে শুভেচ্ছা বিনিময়, সালাম-দোয়া, ঈদ মোবারক জানিয়েই অপরের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে। বলা যায় এবারের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল জগতে।
বর্তমানে মানব-ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারি প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অর্থনীতি ও জীবন বাঁচাতে মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহায্য-সহযোগিতার সাথে সাথে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। তাঁর গৃহীত পদক্ষেপ আজ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত। ইনশাল্লাহ জননেত্রীর নেতৃত্বে এই অনামিশা অন্ধকার হতে মুক্ত হয়ে আমরা আলোর দিশা পাব।
এমন পরিস্থিতি এমন ঘরবন্দী ঈদ আর যেন না আসে মানবজীবনে। তাই করোনাকালের এই ঈদের প্রধান প্রার্থনা হচ্ছে, ‘পৃথিবী করোনামুক্ত হোক’। ঈদ আনন্দের সব অনুষঙ্গ ত্যাগ করেও যদি পৃথিবী থেকে করোনা বিদায় নিত, তাহলে শান্তি পেত মন। পৃথিবী থেকে করোনার বিদায়ে মানুষ ঈদের আনন্দের চেয়ে বেশি আনন্দিত হবে। এবং সেই আনন্দই পৃথিবীর বুকে আসুক দ্রুত, এটাই করোনা দিনের ঈদুল আযহার প্রত্যাশা। দূরের, কাছের পরিচিত–অপরিচিত ঈশ্বরদী ও আটঘোরিয়াবাসীকে জানাই ঈদ মোবারক।’