উপজেলার ডেওটুকন ফেরিঘাটে, তীব্র স্রোত ও নদী ভাঙনের কবলে পড়ে যানবাহন পারাপার সহ সাধারণ মানুষের পারাপারে দুর্ভোগ চরমে পৌঁচেছে। এই ঘাটটি আশপাশের ৩ ইউনিয়নের যানবাহন ও জন পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় ঈদকে সামনে রেখে বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটের দুই পাড়েই যাত্রী উঠানামায় রয়েছে সমস্যা। ঘাটে ইজারা দারের একটি নৌকা থাকায় দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে সাধারণ যাত্রীদের। মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। বর্তমানে বর্ষা মৌসুম থাকায় পাহাড়ী ঢলে নদী প্রায়ই ভরা থাকে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়েযাত্রী পারাপার করলেও নদীতে অতিরিক্ত পানি থাকায় নিরাপত্তা হীনতায় ভোগে সাধারণ যাত্রীগন। ৩ ইউনিয়নবাসীর জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় যাত্রীদের দুভোর্গের কথা ভেবে গত ২০১৭ সালে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই ঘাটে একটি ফেরি চালু করলেও দীর্ঘ ৩বছর ধরে ঘাটে বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে ফেরিটি। রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে নানা যন্ত্রাংশ বেহাত হয়ে যাচ্ছে। এই ঘাট দিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার হওয়ায় তাঁদের জান মালের নিরাপত্তারকথা ভেবে এই ঘাট দিয়ে পুনরায় ফেরি চলাচল করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলকাবাসী। এ নিয়ে জেলা নির্বাহী প্রেকৌশলী (সওজ) মোঃ হামিদুল ইসলাম জানান, যান্ত্রীক সমস্যা ও জনবলের অভাবে এই ঘাটে বরাদ্দদেয়া ফেরিটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এখান দিয়ে যে পরিমান যাত্রী পারাপার হয়, এ থেকে আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিমান হয়ে যায় অনেক বেশি। যে কারনে এই নদীতে সেতুনির্মানের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে। ঘর মুখো মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম বলেন,ঘাটে যাত্রী পারাপারে সমস্যার কথা আমি শুনেছি। ঈদে ঘর মুখো মানুষের কথা ভেবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।