নাটোরের গুরুদাসপুরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ১৬ লাখ টাকার মাছ নিধনের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগি পুুকুর মালিক মোশারফের ছেলে আলী হাসান। মঙ্গলবার দুপুরে গুরুদাসপুর মডেল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভুগি আলী হাসান অভিযোগ করে বলেন, চাপিলা ইউনিয়নের খামারপাথুরিয়া মৌজার খতিয়ান ৭৭৭ ও ৬৩০ দাগের ১২বিঘা জমিটি তার বাবা মোশারফ হোসেন ও তার চাচাতো ভাই আব্দুল মান্নান পৈত্রিকসূত্রে ভোগ দখল করে আসছেন। ৪৯ বছর আগে অন্যের ১২ বিঘা জমির নকল কাগজপত্র তৈরি করে রেজিষ্ট্রি করে বাবা ও মায়ের নামে দিয়েছিলেন উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পশ্চিম নওপাড়া গ্রামের মোজাহিদ ইসলাম। ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রকাশ্যে তাদের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মোজাহিদ। এতে পুকুরের মাছ মরে ভেসে ওঠায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এখন সেই পুকুর নিজেদের দাবী করে বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় মুজাহিদসহ তার ১০ ওয়ারীশের নামে একটি এজাহার দায়ের করেছেন আলী হাসানের চাচাতো ভাই আব্দুল মান্নানের স্ত্রী নাসিমা বেগম। ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও মামলার কোন অগ্রগতি নেই। প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে অপরাধীরা। জাল দলিল করে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময় পুকুরে বিষ প্রয়োগ ও কলা কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। ভূয়াকাগজে জমি রেজিষ্ট্রির প্রতারনার মামলাও রয়েছে তাদের নামে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোজাহিদ সোমবার মুঠোফোনে দাবী করেন, তাদের কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। জাল দলিলের বিষয়টি নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করায় আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন। আদালতেই চুড়ান্ত ফায়সালা হবে।
ভুয়াকাগজে জমি রেজিষ্ট্রির প্রতারনা মামলা, পুকুরের মাছ নিধন ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহরুল ইসলাম বলেন, মামলা ও অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।