নাটোর প্রতিনিধি–বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্ধ করে দিয়েছিল সিংড়ার কলকলিপাড়া বাঁধের ॥কালভার্টটি। কিন্ত ভরা নদীতে মাছ ধরার লোভ সামলাতে পারেনি বিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মামুন অর রশীদ এবং কলম ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানীর সহ প্রভাবশালী এলাকার কিছু মানুষ। মাছ ধরার জন্য কালভার্টটি খুলে দিতেই বিপদ সীমার ওপরে থাকা আত্রাই নদী আগ্রাসী রুপ নিয়ে যেন হামলে পড়ে কালভার্টের ওপর। পানির চাপ সহ্য করতে না পেরে কালভার্টটি মুহুর্তের মধ্যে ধসে চলে যায় বহুদূর। সেই সাথে ভেঙ্গে যায় বাধটি।ভাঙ্গন বাড়তে বাড়তে ৩০ মিটারে গিয়ে দাঁড়ায়।যা আরো বাড়ার আশংকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানের।
রোববার সন্ধ্যায়কলম ইউনিয়নের কলকলিপাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ভাঙ্গার পর এখন নতুন করে বন্যার মুখ দেখতে হবে ওই ইউনিয়নের ১২ গ্রামের মানুষকে। তলিয়ে যাবে চাঁদপুর বিলের শতাধিক পুকুর,আউশ ধান।
খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান,ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক চুন্নু। বাঁধটি মেরামতে বগুড়া থেকে জিও ব্যাগ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী। তবে বাঁধ মেরামতের আগেই সর্বনাশ যা হওয়া হয়ে যাবে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।তিনি জানান ,বাঁধের পাশে আশ্রয় নেয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষ গুলো আবারো হবে নিঃশ্ব।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন,এলাকার স্বার্থন্বেষী মহলের মাছ ধরে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার লোভেই এতোবড় ক্ষতি হয়ে গেল ।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন,পরিচালনা কমিটির সভাপতি মামুন অর রশীদ এবং কলম ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানীর মাছ ধরার লোভে ক্ষতির শিকার হয়েছে গ্রামের সাধারণ কৃষকরা । এছাড়া এ বিলে যুবলীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর রয়েছে ১০টি পুকুর । যে পুকুরগুলোর মাছ ভেসে গেছে । যার ফলে রাব্বানী প্রায় কোটি ক্ষতি হয়েছে । এ ক্ষতি পোষাণের জন্য বিলের পানি নামিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতিকালেই বাঁধটি ভেঙ্গে যায় ।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন,পরিচালনা কমিটির সভাপতি মামুন অর রশীদ এবং কলম ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা প্রতিপক্ষরা মিথ্যাচার করছে।