গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৯টি এবং মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা ১১টি। টানা অবিরাম বর্ষণ এবং উজানের ঢলে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দেয়। এতে ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন চরের কমপক্ষে ১২ হাজার পরিবারের ৪৬ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়ে । পাশাপাশি ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ এবং শ্রেণিকক্ষ পানিতে ডুবে যায়। দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকায় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে মাছ প্রেমীদের মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। উপজেলার নাজিমাবাদ বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, তার বিদ্যালয় মাঠে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ২ হতে ৩ফিট পানি রয়েছে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষে হাটু পানি অবস্থান করছে। সে কারণে আসবাবপত্র নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হারুন-উর রশিদ জানান, চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন নিচু এলাকার ৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। এ সংক্রান্ত তথ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বেলাল হোসেন জানান, মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান, বন্যায় নির্মজিত প্রতিষ্ঠান সমুহের তালিকা অধিদপ্তরের পাঠানো হয়েছে।