ইয়ানূর রহমান : শার্শার করোনা জয়ী স্বাস্থ্যকর্মী শাহানাজ সুধ খোরের অত্যাচারে আত্যহত্মা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় একটি অপমত্যু মামলা হয়েছে ৷
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, স্বাস্থ্যকর্মী শাহানাজ শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিনে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে কর্মরত ছিলেন।
সংসারের বিভিন্ন টানা পোড়নে নিজ চাচাতো ভাই দক্ষিন বুরুজ বাগান গ্রামের হবিবরের কাছ হতে ২লক্ষ টাকা সুধে ধার নেন গত এক বছর আগে।
গত এক বছর নানা সমস্যায় সুধ সহ টাকা ফেরত দিতে না পারায় তা চক্রবৃৃদ্ধি হারে বেড়ে দাড়ায় ১৬ লাখে । এ অবস্থায় স্বাস্থ্যকর্মী শাহানাজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ইতোমধ্যে। এতেই বে-কায়দায় পড়ে যায় শাহানাজ। করোনার মধ্যেই সুধখোর হবির অত্যাচার আরো বেড়ে যায় ৷
অভিযোগে আরো জানা যায়, স্বাস্থ্যকর্মী শাহানাজ গত শনিবার বিকেলে বেনাপোলের দূর্গাপুর গ্রামের নিজ বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় সুধখোর হবিবর ও তার স্ত্রী বুচি (ডাক নাম) শাহানাজের বাড়িতে
অতর্কিতে হামলা চালায়। ভাংচুরও করে । এ সময় ঘরে ডিপ ফ্রীজ ও নগদ ২২হাজার টাকা নিয়ে আসে ৷
এ ঘটনায় চরম অপমানে নির্ঘুম রাত কাটায় স্বাস্থ্যকর্মী শাহানাজ । স্বামী সন্তানরাও তাকে সহানুভূতি না জানিয়ে শাহানাজের কথা বলা বন্ধ করে দেয়।
এ সময় সে লজ্জায় ও মানুষিক চাপে মুচড়ে পড়ে সে এবং শনিবার দিবাগত ভোর রাতে গলায় ফাস নিয়ে আত্যহত্মা করেন ৷
স্বজনরা তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সে অনেক আগেই মারা গেছেন ৷
এ অবস্থায় সুধখোর হবি ও তার স্ত্রী হাসপাতালে হাজির হয়ে স্বজনদের লাশ
নিতে বাধা দেয় । টাকা পরিশোধ না করে লাশ নিতে পারবে না বলে তারা জানিয়ে দেয়। স্থানীয়দের চাপে সুধখোররা প্রাথমিকভাবে পিছু হটল্ওে নিহতের পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে রবিবার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে
বেনাপোলের পারিবারিক কবরস্থানে স্বাস্থ্যকর্মী শাহানা কে দাফন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ইনচার্জ ওনি মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।