ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের আসন্ন উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন। শনিবার (১৮ জুলাই) রাতে শহরের আকবরের মোড় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, আমি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের নিকট পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন চাইবো। জননেত্রী মনোনয়ন দিলে আমি দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে আসনটি আবারো তাঁকে উপহার দিবো। আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলেও ঝপিয়ে পড়ে তাঁকেই জিতিয়ে আনবো।
এসময় তিনি আওয়ামী লীগ ও সকল অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীর অতীতের মতো কোন ভুল না করার আহব্বান জানিয়ে বলেন, নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সকলকে নৌকার প্রার্থি বিজয়ী করার জন্য কাজ করতে হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৬১ সাল থেকে রাজনীতি করছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ সবাই আমাকে নামেই চিনতেন। জাতীয় নেতাদের সাথে আমার সুসম্পর্ক ছিল। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু আমাকে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিতে চেয়েছিলেন। আমি বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন স্যার, আমি অত্যন্ত জুনিয়র। আমাদের এলাকার সিনিয়র নেতারা রয়েছেন তাদের মনোনয়ন দিন। সেইবার মহিউদ্দিন সাহেবকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম বহু বছর। দলের দুঃসময়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করেছি।
ঈশ্বরদীর উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প নির্মাণ হচ্ছে ও ঈশ্বরদী ইপিজেড গড়ে উঠেছে। ঈশ্বরদী এখন সারাদেশের মধ্যে উন্নয়নের একটি রোল মডেল। ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর জন্য আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রেলগেটে ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়নি, পাকশী পেপার মিল বন্ধ হয়ে গেছে, ঈশ্বরদীতে আধুনিক স্টেডিয়াম নেই, ঈশ্বরদীতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ প্রয়োজন। ঈশ্বরদী থেকে অনেক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অনেক কিছু হারিয়েছে ঈশ্বরদীবাসী। ঈশ্বরদীর বিবাদমান সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ঈশ্বরদীবাসী ভোট দিয়ে আমাকে তিনবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছেন। আমি জনগণের ভালবাসা ও সম্মান পেয়েছি। আমিও সাধ্যমত তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। যতদিন বেঁচে আছি মানুষের সেবা করে যাবো।