বিশ্বনাথে প্রতিবন্ধীদের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

সিলেটের বিশ্বনাথে প্রতিবন্ধি পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাতে মোছা. রওসন আরা বাদী হয়ে ১১জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেছেন। (মামলা নং-১৩, তাং-১৭.০৭.২০২০ইং)। বাদী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের হামলায় গুরুতর আহত প্রতিবন্ধি আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী। মামলায় আসামীরা হলেন মৃত এশাদ আলীর ছেলে আখতার মিয়া, তার স্ত্রী সেলি বেগম, মৃত মনির আলীর ছেলে হেলাল মিয়া, মৃত হোসেন আলীর ছেলে রফিক মিয়া, রফিক মিয়ার ছেলে সাকিব মিয়া ও রাকিব মিয়া, মনির মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া, বিল্লাল মিয়া, দিলাল মিয়া, দিলোয়ার মিয়া ও আনোয়ার মিয়া। এদের মধ্যে শনিবার দুপুরে সেলি বেগম, রফিক মিয়া, সাকিব মিয়া ও আখতার মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।এর আগে শক্রবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী আব্দুস ছাত্তার পক্ষের উপর হামলা করেন তারই চাচাতোভাই আখতার মিয়া গংরা। হামলায় প্রতিবন্ধী আব্দুস ছাত্তার গুরুতর আহত হলে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অন্যান্যদের মধ্যে আহত প্রতিবন্ধী আব্দুস ছাত্তারের ছোটভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী নেছার মিয়া ও লিটন মিয়া এবং মধ্যস্ততাকারী একই গ্রামের হয়াজ মিয়া। হামলার খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই দেবাশীষ শর্ম্মাসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন্ধ করা রাস্তা খোলে দেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫জনকে জিাজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।মামলা তদন্তকারী অফিসার (আইও) থানার এসআই অলক দাশ জানান, প্রতিবন্ধি আব্দুস ছত্তারের মাথার নার্ভে সমস্যা হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। আটকৃতদের মধ্যে শনিবার দুপুরে আখতার মিয়া ও স্ত্রী সেলি বেগম, রফিক মিয়া, সাকিব মিয়া এই চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, পৈর্তৃক সম্পত্তি ও বাড়ির রাস্তা নিয়ে মনোহরপুর গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে আব্দুস সত্তার ও মৃত ইর্শ্বাদ আলীর ছেলে আখতার মিয়ার মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি বাড়ির মধ্যখানে দেওয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধী চাচাতো ভাইদের উঠান দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেন আখতার। এরপর বাড়ির রাস্তায় বাশের বেড়া দিয়ে চলাচল একেবারে বন্ধ করে দেন আখতার। আর রাস্তা বন্ধ করায় অন্য পথে শুক্রবার গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে যান আব্দুস সত্তার। নামাজ শেষে উপস্থিত পঞ্চায়েতকে এ বিষয়টি জানান তিনি। আর পঞ্চায়েতকে জানানোর কারণে ওইদিন বিকেলে আব্দুস ছাত্তার পক্ষের উপর হামলা করেন আখতার গংরা।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, এঘটনায় মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা ৫জনের মধ্যে ১জনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে ছাড়া অন্য চারজনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।