তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারীর সম্মুখীন আমরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস ছাড়াও ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যার ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বারবার এসেছে পিছপা হয়নি। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এবারো চলনবিলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমি আপনাদের সামনে এসেছি। দুংখের দিনে দুরে থাকতে পারি না। তাই করোনার এ সময়ে ঘরে থাকতে পারছিনা। এজন্য ছুটে এসেছি। জনগনের কল্যানে কাজ করছি। আমৃত্যু কাজ করে যাবো, ইনশাআল্লাহ।
৬৭৮ কোটি টাকা ব্যায়ে কৃষক ও কৃষি উন্নয়নে সরকার চলনবিল উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এটি বাস্তবায়ন হলে চলনবিলে আমুল পরিবর্তন ঘটবে।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায়নাটোরের সিংড়া উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন এবং বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরন কালে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
তিনি দায়িত্ব কর্তব্য অবহেলা না করার জন্য সরকারী কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করছেন। শেরকোলের এ ইউনিয়নে সরকারী কলেজ রয়েছে , ২৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হাইটেক পার্ক করা হচ্ছে। ইতোমধ্য বন্যা দুর্গতদের জন্য ভাগনাগকান্দী ও চকপুর আশ্রয়ন খুলে দেয়া হয়েছে। ৫ টি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকার কিছু মহল্লা প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যায় গৃহহীন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সাপে কামড় দিচ্ছে, এমন পরিস্থিতির কারনে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তিনি আরো কলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শত বাধা বিপত্তি নিয়ে জনগনের পাশে ছিলেন। তিনি এ দিনে কারাভোগ করেছিলেন। কখনো জনগনের কাছ থেকে কোনো ষড়যন্ত্র তাঁকে দুরে রাখতে পারেনি।
পরে প্রতিমন্ত্রী বন্যা দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন এবং গুরনই নদীর শাহাবাজপুর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু, শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, পাউবোর ঠিকাদার আব্দুল জব্বারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।