নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রশংসায় ভাসছে নাটোর-নলডাঙ্গার মানুষ। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে দেশজুড়ে লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টিন শুরু হলে তিনি ছুটে আসেন নির্বাচনী এলাকায়। সেই থেকে এলাকায় অবস্থান নিয়ে রাত-দিন একাকার করে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দু’উপজেলার কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় লক্ষাধিক দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।
এলাকার মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে নানা দিক নির্দেশনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ত্রাণ সামগ্রী সঠিকভাবে বণ্টনের জন্য দু’উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, মেয়র, ওসি, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে তালিকা প্রণয়ন করে তিনি তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নিজ হাতে বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।
নাটোর-নলডাঙ্গার উপজেলার এমন কোনো দরিদ্র পরিবার নেই যে পরিবারে তিনি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেননি। তিনি শুরুতে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার এলাকার কাউকে না খেয়ে অভুক্ত থাকতে হবে না। তিনি তার কথা শতভাগ রেখেছেন। এ দু’উপজেলায় ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ দলমত শ্রেণি পেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ পর্যাপ্ত ত্রাণ সমাগ্রী পেয়েছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শিশুদের মাঝে ‘শিশু খাদ্য’ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড স্যানেটাইজার ও সাবানসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
শুধু ত্রাণ নয়, মহা এ দুর্যোগ মুহুর্তে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে সার্বক্ষণিক কাছে পেয়ে এলাকাবাসী উৎফুল্ল ও অনুপ্রাণিত। অনেকেই মন্তব্য করেছেন তিনি শুধু সংসদ সদস্যই নন সবার কাছে এখন একজন প্রকৃত ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’। প্রাণঘাতি করোনার এ বিপদসংকুল মুহূর্তে মৃত্যুকে ‘পরোয়া’ না করে ভয়কে জয় করে এলাকাবাসীর পাশে সার্বক্ষণিক থেকে তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ‘করোনা’ জয়ে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে রাজনীতিতে তৃনমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ে উঠে আসা এ সংসদ সদস্য প্রমাণ করলেন তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক ‘মাটি ও মানুষের’ নেতা।
নাটোর পৌরসভার পর পর তিনবার নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর ও কমিশনার জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন,উত্তরাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ করোনা যোদ্ধা সংসদ সদস্য শিমুল ।করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম থেকে সাংসদ শিমুল নিরন্তর ছুটছেন সংকটে পড়া এসব মানুষের কাছে। কখনো ত্রাণ, কখনো ইফতার, কখনো ঈদ বাজার,কখনো জামা কাপড়,কখনো মোবাইল ফোনে মানুষের সংকটের কথা শুনে ছুটে যাচ্ছেন তাদের কাছে। বিনামূল্যে প্রয়োজন অনুযায়ী সেখান থেকে খাদ্য নিয়ে যাচ্ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। মানবতার সেবায় সাংসদ ও আঃ লীগের এ নেতার কার্যক্রম এরই মধ্যে সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিপুলভাবে উজ্জীবিত করেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশের মানুষ যখন আতঙ্কগ্রস্থ সেই ভয়াল ও মহা বিপদের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে হাতেগোনা যে কয়েকজন এমপি মাঠে কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি । তিনি নিজের ও পরিবারের জীবনের মায়া ত্যাগ করে ছোট্ট সন্তান এবং পরিবারকে ত্যাগ করে রাতদিন ছুটে চলেছেন নাটোর ২ আসনের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আহম্মেদ সেলিম বলেন,মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপির সকল কর্মকান্ড দেখে নাটোর বাসী আশা করেন- গণতন্ত্রের মানস কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপিকে যে কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিলে তিনি তা সঠিকভাবে পালন করতে পারবেন। সেই দক্ষতা ও যোগ্যতায় পরিপূর্ণ একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পেরেছেন আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি। তাই আমি আশা রাখি আগামী মন্ত্রিপরিষদ রদবদল হলে জননেত্রী শেখ হাসিনা আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপিকে যে কোন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করবেন।
এ প্রসঙ্গে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে গেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মহান সেই পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ ও জাতির ভাগ্যোন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার সৈনিক হিসেবে আমিও সেই আদর্শকে ধারণ ও লালন করে মানবসেবায় আমৃত্যু কাজ করে যাবো। জাতির এ সংকটে আমাদের মানবিকতার হাতটা বাড়িয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোটা জরুরি। সংগঠন এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। করোনার বিরুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো।