বগুড়ায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় বগুড়া জেলাতেও ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২০ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘মহামারী কোভিড-১৯ কে প্রতিরোধ করি, নারী ও কিশোরীর সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করি’। এ উপলক্ষে শনিবার বেলা ১১ টায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন বগুড়া পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক কাজী ফারুক আহমেদ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক (সিসি) ডাঃ সামসী আরা বেগম।
প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল এবং টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম। বেসরকারী সংস্থার পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন এফপিএবি বগুড়া জেলা শাখার জেলা কর্মকর্তা অরুণ কুমার শীল এবং মেরী স্টোপসের ক্লিনিক ম্যানেজার মোঃ ময়নুল ইসলাম। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশু স্বাস্থ্য বিবেচনায় কোভিড-১৯ দূর্যোগ মহামারীর সময় গর্ভধারণকে নিরৎসাহিত করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে বার্তাটি পৌঁছে দিতে সরকারী এবং বেসরকারী কর্মকর্তাদের আহবান জানান। কেননা, বর্তমান পরিস্থিতি গর্ভবতী মা এবং অনাগত শিশুর জন্য ঝুকিপূর্ণ।
বিশেষ অতিথি টিএমএসএস এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং টিএমএসএস, সিবিডি ও ক্লিনিক হিসেবে বগুড়া জেলায় ও রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বেসরকারী সংস্থা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। সভাপতির বক্তব্যে উপ-পরিচালক কাজী ফারুক আহমেদ ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী প্রধান অতিথিসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মি/প্রতিষ্ঠানের নাম পড়ে শোনান এবং তাদেরকে অভিনন্দন জানান। জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মি/প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা জানান। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে শোভাযাত্রা করা সম্ভব হয়নি, তবে জেলা পর্যায়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং সদর উপজেলার এমসিএইচ ইউনিটে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিশেষ সেবা প্রদান করা হয় দিবসটিতে।