বগুড়া শহরের সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত ৯টি এলাকা টানা ১ মাসের বেশি রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন দেয়ার পরেও কমছে না করোনা আক্রান্ত ভাইরাসের সংখ্যা। ১০ জুলাই শুক্রবার নতুন করে আরো ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৬০৮ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় সরকারি হিসাবে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬৬ জন। শহরের ৯টি এলাকায় সংক্রমণ বেশি হওয়ায় বিগত ৪ সপ্তাহ ধরে লকডাউন অব্যাহত রয়েছে। এইসব এলাকার অভাবী মানুষরা কর্মহীন পড়ে নানা সমস্যায় পড়েছেন।শুক্রবার বেলা ১১টায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ল্যাবরেটরিতে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ২২ জনের নমুনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এবং বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ল্যাবরেটরিতে ৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৫ জন পজিটিভ হন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলার ৩৫ জন রয়েছেন। এ ছাড়া শেরপুরে ৮, শাজাহানপুরে ৩, শিবগঞ্জে ৩, কাহালুতে ২ এবং আদমদীঘি, সারিয়াকান্দি, দুপচাঁচিয়া ও সোনাতলা উপজেলায় ১ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন।বগুড়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বগুড়া সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে করোনা ভাইরাসে। এর সংখ্যা হলো ২ হাজার ৪৯১ জন। অন্য উপজেলার মধ্যে শাজাহানপুরে ১৯১ জন, গাবতলীতে ১৮৮, কাহালুতে ৮৬, শেরপুরে ১৭২, সারিয়াকান্দিতে ৮৩, সোনাতলায় ৭৫, শিবগঞ্জে ৯৩, আদমদীঘিতে ৩৮, দুপচাঁচিয়ায় ৭৭, নন্দীগ্রামে ৪১ ও ধুনটে ৭১ জন রয়েছেন।বগুড়া জেলা শহরের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে নয়টি এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। নয়টি এলাকা হলো চেলোপাড়া, নারুলী, নাটাইপাড়া, জলেশ্বরীতলা, মালতিনগর, সূত্রাপুর, ঠনঠনিয়া, ঠনঠনিয়া হাঁড়িপাড়া ও কলোনি। এই এলাকাগুলোতে ২১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলবে।